চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানে ঢাকা ফিরছি, উঠেই দেখি ওমান থেকে ফেরা প্রবাসী ভাইয়েরা…
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানে ঢাকা ফিরছি। প্লেনের সাইজ দেখেই বুঝলাম ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট। চট্টগ্রামে প্যাসেঞ্জার নামিয়ে ঢাকা ফিরতি ফ্লাইটে আমরা ৩০/৪০ জন উঠলাম।
উঠেই দেখি ওমান থেকে ফেরা প্রবাসী ভাইয়েরা- বিদেশের মাটিতে যারা রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখেন।
কিন্তু বিশাল এই প্রবাসী শ্রমিক জনগোষ্ঠী দেশে ফেরার সময় আবেগে এবং দেশাত্ববোধের কারনে বাংলাদেশ বিমান পছন্দ করলেও, তারা বাংলাদেশ বিমান এবং বিমান বন্দরে কি ধরনের অবহেলা এবং হয়রানির স্বীকার হন, পাশের প্যাসেঞ্জার সেটাই বলেছিলেন।
এয়ার হোস্টেস খাবার বিতরণ করে গেলেন। আমার সংগে এক ব্যবহার আর আমার পাশের প্যাসেন্জারের সংগে ভিন্ন ব্যবহার!
কেকের প্যাকেটটা খুলে মুখে দিতেই স্বাদটা কেমন লাগলো – চেক করে দেখি মেয়াদোর্ত্তীণ কেক।
পাশের প্যাসেঞ্জার আগে বিতরণ করা জুসের প্যাকেটটা না খেয়ে রেখে দিয়েছিলেন। বের করে আমাকে চেক করতে দিলেন সেটাও মেয়াদ উর্ত্তীণ!বিষয়টি হল, যেহেতু এটা ওমান ফ্লাইট, তাই হয়তোবা কর্তৃপক্ষ ধরেই নেন, বেশির ভাগ প্যাসেঞ্জারই হবে প্রবাসী শ্রমিক- খাবার একটা কিছু দিলেই হয়।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের মাননীয় সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) জনাব Mahbub Kabir Milon ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
( অভিযোগ করলে তারা তড়িঘড়ি করে প্যাকেট গুলো তুলে নেয়।)
প্লিজ লিখাটা বোধয় শেয়ার করা উচিৎ,,
আর এই স্বভাবের মানুষের জন্যই আজ আমাদের দেশের মানুষ ব্যবসায়,সিরিয়াল, নাটক , হাসপাতাল সেবা সব কিছুর জন্য বাইরে চলে যায়।
দিন শেষে একদিন তারা কান্না করবে কাস্টমারদের জন্য কিন্তু সেদিন উগান্ডা গিয়ে লাথি খেয়ে ব্যবসায় করবে তারা,
বাঙ্গালীর মর্ম বুঝলি না।
(সংগৃহীত)