শনিবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০১৮ ইং ২৮শে আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

জ্বীন থেকে বাঁচার কিছু উপায়, রাতে একা একা হাটলে যদি বুঝতে পারেন পিছে কেউ আছে,তাহলে……

জ্বীন থেকে বাঁচতে কিছু টিপস, অনেক সময় উপকার আসতে পারেঃ
১। রাতে একা একা হাটলে যদি বুঝতে পারেন পিছে কেউ আছে, তাইলে শুধু ঘাড় ঘুরাবেন না। পুরো শরীর ঘুরিয়ে দেখবেন। ঘাড় ঘুরালে মটকে দেবার সম্ভাবনা আছে।২। বিছানার ওপর সাপ দেখতে পেলে আগেই মারবেন না, আপনার ক্ষতি হতে পারে। আগে চলে যেতে বলবেন। কারন জিন সাপের রুপ ধারন করে। মারামারি করতে গিয়ে আপনি মারাও যেতেপারেন, কারন এক সাহাবি এই সাপের রুপ ওয়ালা জিনের সাথে মারামারি করতে গিয়ে মারা গিয়েছিল। আর যদি চলে না যায়, তবে বুঝবেন আসলেই ওটা সাপ, তখন মারবেন বা তাড়িয়ে দিবেন।৩। যদি রাতে দেখেন গাছের কোন ডাল বা বাঁশ ঝুকিয়ে পরেছে তবে তার ওপর দিয়ে যাবেন না। আয়াতুল কুরসি পড়বেন। তাইলে দেখবেন আবার ঠিক হয়ে গেছে, তখন যাবেন।৪। শুধু গভির রাতে যদি যেকেউ বাহির থেকে আপনার নাম ধরে ডাকলে সাড়া দিবেন না। ৩ বার ডাকার পর সাড়া দিবেন।৫। গাছে যদি কিছু বসা দেখতে পারেন তাইলে তার দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। চুপ করে মাটির দিকে তাকিয়ে চলে যাবেন।৬। যদি একা রাতে আপনার রুমে এসে দেখেন আপনিই রুমে বসে আছেন। মানে নিজেকে নিজেই দেখতে পারেন, তাইলে ভয় পাবেন না। ওটা আপনার সাথে থাকা জিন। (কারিন জিন)। শুধু চোখ বন্ধ করে আয়াতুল কুরসি পড়বেন ও তারপর চোখ খুলবেন।৭। রাতে কখনো চিত হয়ে ঘুমাবেন না। আর যদি ভয়ের স্বপ্ন দেখেন, তাইলে উঠে বুকের বাম পাশে আস্তে আস্তে করে ৩ বার থুতু দিবেন। – বুখারি শরিফ

৮। পুকুরে গোছল করলে যদি বুঝতে পারেন কেউ আপনার পা ধরে টানিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তবে প্রথমে চিৎকার দিবেন। ও সাথে সাথে দোয়া ইউনুস পড়া শুরু করবেন। কারন পুকুরে বা নদী তে জিন থাকে।৯। যদি রাতের বেলা একা একা দেখতে পারেন কুকুর আপনার কাছে আক্রমণ করতে আসছে আর কুকুর টা কে যদি অস্বাভাবিক মনে হয়, তাইলে যথাক্রমে মাটিতে একটা সারকেল আঁকাবেন ও ওই সারকেলের ভিতর দাঁড়িয়ে আয়াতুল কুরসি পড়বেন।১০। যদি দেখেন আপনি রাতের বেলা তে পথ ভুলিয়ে যাচ্ছেন বা একই পথে বার বার ফিরিয়ে আসছেন বা অনেক দূর যাওযপরওগন্তব্যেপৌছাতে পারছেন না, তবে আজান দিবেন। তাইলে সব ঠিক হয়ে যাবে। গয়রান নামক জিন আপনাকে এই ধকায় ফেলাইছে।১১। রাতে ঘুমের মধ্যে যদি বুঝতে পারেন আপনার বুকে কেউ ভর করে আছে। তবে চিৎকার দিবেন না। চিৎকার দিলে কোন লাভ হবে না, কারন আপনার চিৎকার মুখ দিয়ে বের হবে না। আপনার যানা যেকোনো সুরা পাঠ করবেন।১২। মরা মানুষের আত্মা যদি দেখতে পারেন তাইলে ভয় পাবেন না। ওটা আত্মা নয়। জিন ওই মরা মানুষের রুপ ধারন করেছে। শুধু সালাম দিয়ে চলে যাবেন।১৩। গভীর রাতে একা রাস্তায় হাঁটার সময় যদি দেখেন কালো কুকুর বা কালো বিড়াল আপনার বামপাশ থেকে আপনাকে ক্রস করার চেষ্টা করছে তবে ক্রস করতে দিন। কোন সমস্যা নেই। এটা সমাজের কুসংস্কার। তবে তাকে মারবেন না। ১৪। অনেকেই বলে কবরস্থান একটা পবিত্র স্থান। কথা টি ঠিক তবে কবরস্থানে ঘুল নামক জিন থাকে। তাই পবিত্র স্থান হলেও সর্তকের
সাথে চলবেন।
১৫। আয়নার মধ্যে জিন প্রবেশ করতে পারে। তাই গভির রাতে আয়না না দেখাই ভাল। আর আয়না তে সবসময় পদ্যা দিয়ে রাখবেন। বাথরুম আয়না না রাখাই ভাল কারন বাথরুমে খান্নাস নামক জিন থাকে, যদিও দুর্বল জিন। আর আয়নার সামনে গিয়ে এই দোয়া পাঠ করবেন “আল্লাহুম্মা হাসানতা খালকি ওয়া আহাসিন খুলুকি” ১৬। বাসার ছাদের ওপর জিন বসবাস করে, তাই গভির রাতে একলা ছাদে যাইবেন না। গেলে কাউকে সাথে নিয়ে যাবেন ১৭। যদি আপনি একা একা কোন মিস্টি বা পিঠা জাতিও কিছু খেতে থাকেন ও দেখলেন যে কোন বিড়াল আপনাকে ডিস্টার্ব করছে তবে তাকেও খেতে দিন। কখনোই তাড়িয়ে দিবেন না বা মারবেন না। কারন কোন সময় জিনও আকৃতি ধারন করে আসে, ও মিস্টি জাতিও জিনিস তাদের প্রিয় খাবার। ১৮। অতিরিক্ত রাগ করবেন না। আমাদের মাঝে মধ্যে রাগ এতোটাই বেড়ে যায় যে মুখ দিয়ে কথা আটকে আটকে যায়। এই রাগের কারনে জিন আপনার শরিরে প্রবেশ করতে পারে। তাই রাগ হলে বসে পরবেন, বা বসে থাকবে দাঁড়িয়ে যাবেন। তাইলে জিন প্রবেশ করতে পারবে না। ১৯। মাগরীবের সময়, রাত ২/৩ টা ও আমাবস্যার সময় জিন দের প্রভাব বেশি থাকে। তাই এই সময় সর্তক থাকবেন। ছোট বাচ্চাদের নিরাপদে রাখবেন ও মাগরীবের সময় বিসমিল্লা বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিবেন।২০। প্রতিনিয়ত যদি ভয়ের স্বপ্ন দেখেন ও প্রতিনিয়ত দেখেন যে ওপর থেকে নিচে পরে যাচ্ছেন তাইলে আপনি ব্ল্যাক ম্যাজিকে আক্রান্ত।