বাসায় নিয়ে মহিলাকে প্রথমে ধর্ষণ করে দুই যুবক, পরে সুযোগ নেন এক…
ফের ধর্ষণের অভিযোগ। তবে এবার অভিযোগের তীর এক মহিলার দিকে! এক মহিলাই অপর এক মহিলাকে যৌন মিলনে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে দিল্লিতে।
গুরগাঁওয়ের বাসিন্দা ওই মহিলা সম্প্রতি নিজের চাকরি ছেড়ে দেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল নিজের একটি ব্যবসা খোলার। সেই ব্যবসার জন্য এক অংশীদারের খোঁজ করছিলেন তিনি। তখনই রোহিত নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। রোহিত নিজেকে আইটি কর্মী জানায়। সে ওই মহিলাকে দিল্লির দিলসাদ কলোনির একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়।
অভিযোগকারী ওই মহিলার দাবি, ফ্ল্যাটে রাহুল নামে আর এক যুবক এবং ১৯ বছরের এক যুবতীও ছিল। মহিলার অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে প্রথম গণধর্ষণ করে রাহুল ও রোহিত। তারপরেই ফ্ল্যাটে থাকা ওই যুবতী তাঁকে জোর করে অন্য একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ‘সেক্স টয়’ ব্যবহার করে জোর করে তাঁকে যৌন মিলনে বাধ্য করে ওই যুবতী। সেই সঙ্গে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।
এখানেই শেষ নয়। নির্যাতিতা ওই মহিলার অভিযোগ, এরপরেই বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্কে তাঁকে বাধ্য করত রোহিত ও রাহুল। তাঁকে কার্যত দেহব্যবসায় নামানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। সেই সঙ্গে ফ্ল্যাটে থাকা ওই যুবতীও ক্রমাগত তাঁকে শারীরিক নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ।
কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা ওই মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে রাহুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর এক অভিযুক্ত রোহিত পলাতক। কিন্তু অভিযুক্ত যুবতীর বিরুদ্ধে কোনওরকম মামলা নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। এমনটাই দাবি করেছেন নির্যাতিতা ওই মহিলা।
নির্যাতিতা মহিলার আইনজীবীর দাবি, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দু’জনের সম্মতিক্রমে একই লিঙ্গের দু’জন যৌন সম্পর্কে চাইলে লিপ্ত হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে অভিযোগকারী মহিলাকে বলপূর্বক যৌন সঙ্গমে লিপ্ত করা হয়েছে।’ সূত্র- আজকাল