সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গৃহঋণ, চার ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি অর্থ মন্ত্রণালয়ের
নিউজ ডেস্ক : সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাঁচ শতাংশ সুদহারে গৃহঋণ দেওয়ার বিষয়ে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংক চারটি হলো- সোনালী, জনতা , অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি বলেন, ‘এই চুক্তির ফলে এই চারটি ব্যাংক থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাঁচ শতাংশ সুদহারে ঋণ নিতে পারবেন। তবে এই মুহূর্তে শতভাগ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই সুবিধা পাবেন না। যে কয়টি মন্ত্রণালয় শতভাগ অনলাইন অটোমেশনের আওতায় এসেছে, সেসব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই শুধু এই সুবিধা পাবেন।’ এই মুহূর্তে পাঁচটি মন্ত্রণালয় শতভাগ অটোমেশনের আওতায় এসেছে বলেও জানান তিনি।
এসময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই ঋণ দেবো, এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কে থাকতেন যে, অবসরে যাওয়ার পর তারা কোথায় থাকবেন। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে সেই আতঙ্ক অনেকাংশে কেটে যাচ্ছে।’
দেশের আবাসন ব্যবস্থার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের শতভাগ মানুষকে এখনও গৃহ-সুবিধার আওতায় আনতে পারিনি, এই মুহূর্তে দেশের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষ আবাসন সুবিধার আওতায় আছেন। তারপরেও বলবো, এই খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে এবং হবে।’
নাগরিক অধিকারের প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আরও বলেন, ‘সংবিধানে নাগরিকের যে পাঁচটি সুবিধার কথা বলা আছে সেগুলোর মধ্যে খাদ্যে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ, বস্ত্রেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। এই মুহূর্তে যাদের বয়স ৪০ বছরের মধ্যে, তাদের সাড়ে ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ মানুষ স্বাক্ষর-জ্ঞানসম্পন্ন, শিক্ষিত। তবে যাদের বয়স ৪০-এর বেশি, তাদের সবাইকে আমরা এখনও শিক্ষিত করতে পারিনি। শতভাগ তো আর সম্ভব নয়। ৯০ শতাংশে উন্নীত করতে পারলেই আমরা খুশি। স্বাস্থ্যখাতেও আমাদের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তবে আবাসন খাতে আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি। এই মুহূর্তে দেশের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষ আবাসন সুবিধার আওতায় আছেন, বাকিরা বস্তি ও খুপরি-ঘরে কোনোরকমে দিন পার করছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসময় অর্থমন্ত্রী জানান, ব্যাংকের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার বিষয়ে ৯ আগস্টের মধ্যে সব ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছিল কিন্তু সেটি এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। তবে এটি কার্যকর হবে।
গৃহঋণ দেওয়ার বিষয়ে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তির সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম ও ওই চার ব্যাংকের এমডিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলা ট্রিবিউন