দাফনের পরও জীবিত আসাদুল্লা, থানায় হত্যা মামলা
বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় দাফন হওয়া এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ।আর জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম হচ্ছে মো: আসাদুল্লাহ (৩৮)। আসাদ ওই উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। শুক্রবার ভোরে তাকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে উদ্ধারের পর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অরুয়াইল গ্রামে জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসাদুল্লার সঙ্গে একই ইউনিয়নের ধামাউরা গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে সফিক মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সফিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলাও করে আসাদুল্লা। তবে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আসাদুল্লা ও তার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দিতে থাকেন সফিক।
এ ঘটনায় সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন আসাদুল্লা। এরপর ৯ আগস্ট নিখোঁজ হন আসাদ। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার । পরবর্তীতে গত ৬ সেপ্টেম্বর সরাইল উপজেলার চুন্টা গ্রামের একটি বিল থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সরাইল থানা পুলিশ।
নিখোঁজ আসাদুল্লার শারীরিক গঠনের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া মরদেহের মিল থাকায় আসাদুল্লা হিসেবেই ওই মরদেহটি দাফন করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর আসাদুল্লার মেয়ে মোমেনা বেগম বাদী হয়ে সফিক মিয়াকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরাইল সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মনিরুজ্জামান বলেন, উদ্ধার হওয়া মরদেহ দেখে আসাদুল্লার পরিবার শনাক্ত করে যে এটি তারই মরদেহ। তারপরও মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া আসাদুল্লাকে শনিবার আদালতে হাজির করা হবে। জবানবন্দি গ্রহণের পর নিখোঁজ হওয়ার রহস্য জানা যাবে।