‘গজবের ভয় দেখিয়ে’ কওমি শিক্ষকের ধর্ষণ, এরপর…
এক কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘গজবের ভয় দেখিয়ে’ চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, সাড়ে পাঁচ মাস ধরে শারীরিক সম্পর্কে শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। শিশুটির পেটের ভ্রুণের বয়স এখন পাঁচ মাস। এতে শিশুটি ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কাবেল উদ্দিন বলেন, ‘চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বার ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। এলাকাবাসী বসে আপোষ মীমাংসা করার কথা বলছে শুনছি। এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো পক্ষ আসে নাই।’
তবে, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গ্রামের মাতুব্বররা ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে মীমাংসার চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে এলাকায় নেই অভিযুক্ত শিক্ষক। তিনি রংপুরে আছেন বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি।
মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক বাছেদ দাবি করেন, তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি টাকা-পয়সা দিয়ে বিষয়টির মীমাংসার দায়িত্ব নিয়েছেন।
জানতে চাইলে উত্তর বাইটকামারী কওমি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, তার কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
স্বজনরা জানান, মেয়েটি মাদ্রাসার ছাত্রী না। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। কোরআন শিক্ষা নিতে সে সাড়ে পাঁচ মাস আগে সে বাছেদ হুজুরের কাছে যায়। আর বাছেদ গজবের ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন।
মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন দেখে স্বজনরা ২৯ আগস্ট তাকে রৌমারী স্বাস্থ্য কপপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান মেয়েটি মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, আমার মেয়েকে পাঁচ মাসের গর্ভবতী করছে মাদ্রসার হুজুর। আমি কার কাছে বিচার দিমু? আমার বিচার কেডা করব?’
আইন অনুযায়ী অপ্রাপ্তবয়স্ক কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো ধর্ষণের শামিল। তাকে যে কথা বলেই সম্মতি আদায় করা হোক না, বিচার হবে ধর্ষণবিরোধী আইনে।