বুধবার, ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ২১শে ভাদ্র, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

জাজের নায়ক-নায়িকাদের কোনো স্বাধীনতা নেই : পরীমনি

বিনোদন প্রতিবেদক: ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় ও লাস্যময়ী চিত্রনায়িকা পরীমনি। এবার ঈদে নতুন কোনো ছবি মুক্তি না পেলেও ছোট পর্দায় কয়েকটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে হাজির হয়েছেন এ সময়ের আলোচিত এ চিত্রনায়িকা। সম্প্রতি অভিনয়শিল্পী ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের ‘সেন্স অব হিউমার’ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে হাজির হয়েছিলেন পরীমনি। উপস্থাপকের এক প্রশ্নের জবাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে কাজ করা নায়িকাদের ‘চাকরিজীবী নায়িকা’ বলে মন্তব্য করেন এ নায়িকা।

বাপ্পী ও মাহি জুটির ‘ভালোবাসার রং’ ছবি দিয়ে পাঁচ বছর আগে ছবি প্রযোজনায় আসে জাজ মাল্টিমিডিয়া। এরপর এই জুটি একসঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে। বাপ্পী-মাহীর পর এই প্রতিষ্ঠানের ছবিতে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন নুসরাত ফারিয়া, শিপন মিত্র, জলি এবং সর্বশেষ পূজা চেরি ও সিয়াম। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা নিয়ম মেনে কাজ করছেন তাদের ‘চাকরিজীবী নায়ক-নায়িকা’ বলে মনে করেন পরীমনি।

এ বিষয়ে পরীমনি বলেন, ‘আমি মনে করি একজন নায়ক কিংবা নায়িকা তার নিজস্ব পছন্দ এবং গতিধারায় চলবেন। কোন ছবি করবেন, কোনটি করবেন না, তা কেনো একটা প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে করতে হবে! শিল্পীসত্তার যে স্বাধীনতা থাকা উচিৎ সেটা জাজ মাল্টিমিডিয়ার হয়ে যারা কাজ করেন তাদের নেই বললেই চলে।’

‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবি দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হয় পরীমনির। এরপর জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘রক্ত’ ছবিতে কাজ করেন এ চিত্রনায়িকা। এই ছবির জন্য দু’বছর অন্য কোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ছবিতে কাজ করতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে কাজ করেছি। জাজে থাকাকালীন সময়ে আমি জাজের বাইরে অন্য কারও সাথে নতুন কোন কাজের বিষয়ে কথা বলতে পারতাম না। তার জন্য আমাকে জাজের অনুমতি নিতে হতো।’

যোগ করে পরীমনি আরও বলেন, ‘জাজে যারা কাজ করেন, তারা হচ্ছে চাকরিজীবী নায়ক-নায়িকা। আমি দুবছর এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছি। আমার স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিলো না। আমি যখন কাজ করেছি, তখন নিজেকে চাকরিজীবী নায়িকা মনে করেছি এবং প্রতিটা মুহূর্তে আমি তা অনুভব করেছি। সবকিছু এ প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে করতে হয়। এটা আমার জন্য খুব কষ্টের অভিজ্ঞতা। কারণ, আমি খুব স্বাধীনচেতা একজন মানুষ। ধরেবেঁধে কোনো কাজ আমাকে দিয়ে করানো সম্ভব না। বাধ্য হয়ে কোনো কাজ করতে আমি কখনই রাজি না। ওই ঘরের নায়িকা হলে কোনো রিঅ্যাক্ট করা যাবে না। আমি রিঅ্যাক্ট করেছিলাম বলে ওই ঘরের নায়িকা হতে পারি না। ‘রক্ত’ ছবিটি করার সময় আমি মানসিকভাবে ডিস্টার্ব ছিলাম। দেখা যেত, দৃশ্য আর গানের শুটিংয়ে সময় বেঁধে দেওয়া হতো, এই সময়ের মধ্যে গান ও দৃশ্যের শুটিং হতে হবে, তা-না হলে গান ও দৃশ্য বাদ। এই কথাটা শোনা একজন শিল্পীর জন্য খুবই কষ্টের!

উল্লেখ্য, তিন বছর আগে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে খুব সম্ভাবনাময় নায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটে পরীমনির। কয়েক বছরের ক্যারিয়ারে এই পর্যন্ত ১৩টি ছবি মুক্তি পেলেও মাত্র দুটি ছবিকে নিজের ছবি বলতে ভালোবাসেন এই নায়িকা। ছবি দুটি হচ্ছে মালেক আফসারীর ‘অন্তর জ্বালা’ আর গিয়াসউদ্দীন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’। কারণ এ দুটি ছবিতে আমি নায়িকা না হয়ে চরিত্র হয়ে উঠতে পেরেছি, যেমনটা আসলে আমি চাই’ এমনটাই বললেন পরীমনি। সূত্র: জাগো নিউজ