ব্যর্থ শাকিব, ব্যর্থ অন্যরাও
ঈদুল আজহায় বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে তিন ছবি। এগুলো হল শাকিব-বুবলী অভিনীত ‘ক্যাপ্টেন খান’, মাহিয়া মাহি ও কলকাতার বনি সেনগুপ্ত অভিনীত ‘মনে রেখো’ এবং সাইমন সাদিক ও মাহি অভিনীত ‘জান্নাত’।
ছবিগুলোর মধ্যে কেবল জান্নাত ঈদের মাস খানেক আগে সেন্সর থেকে ছাড়পত্র পেয়েছিল। বাকি দুটি ছবি ঈদের মাত্র দুই দিন আগে পায় সেন্সর ছাড়পত্র। ঈদের ঠিক আগমুহূর্তে ছাড়পত্র পাওয়ায় প্রচার প্রচারণা কম ছিল। সাধারণত ছবি মুক্তির আগে ছবির গানগুলো মুক্তি দিয়ে দর্শকদের আকৃষ্ট করা হয়। তিনটি ছবির বেলায় গান প্রকাশেও দেখা গেছে অবহেলা।
এর মধ্যে ‘ক্যাপ্টেন খান’ সিনেমাটি হল পেয়েছে ১৭০টি। অন্যদিকে ‘মনে রেখো’ ৬০টি এবং ‘জান্নাত’ ২২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। তবে ফাঁকা মাঠ পেয়েও গোল দিতে পারেননি শাকিব খান! অন্যরাও ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানা যায়। মুক্তির এক সপ্তাহ পর কোন সিনেমাটি কেমন চলছে সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাকিব খানের সিনেমা হলেও দর্শকদের হতাশ করেছে ‘ক্যাপ্টেন খান’ সিনেমাটি।
নকলের অভিযোগ মাথায় নিয়েই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর এ হতাশা প্রকাশ করেছেন শাকিব ভক্তরা। সিনেমাটি নকলের পাশাপাশি কাহিনি ও চিত্রনায়িকা বুবলীর অভিনয় দুর্বলতার কথা উঠে এসেছে। অন্যদিকে খল অভিনেতা মিশা সওদাগরের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন সিনেমাটি দেখতে আসা দর্শকরা।
শ্যামলী সিনেমা হলের ম্যানেজার হাসান বলেন, ‘ক্যাপ্টেন খান’ সিনেমাটি অ্যাকশন ঘরানার সিনেমা। এতে কাহিনি থাকলে ভালো হতো। এবারের ঈদে শুধু ‘ক্যাপ্টেন খান’ ভালো যাচ্ছে। তাও শুধু ইভিনিংয়ের শোটা। অন্যান্য শো ভালো যাচ্ছে না। ঈদের সময় দর্শক এতটা হল বিমুখ আগে কখনো হয়নি।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ও মধুমিতা সিনেমা হলের স্বত্বাধিকারী ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘‘ঈদের দিন থেকে ‘মনে রেখো’ সিনেমাটি চালিয়েছি। কিন্তু এর সেল রিপোর্ট ভালো ছিল না। ঈদের সিনেমা যেভাবে চলার কথা সেভাবে চলেনি। তাই এ সপ্তাহে নামিয়ে ‘জান্নাত’ নিয়েছি। প্রথম দিন ‘জান্নাত’ ভালো গিয়েছে। এরপর এ ছবির ব্যবসাও থমকে গেছে।