চুমুতেই ফিরে পেলেন প্রাণ!
শুধুমাত্র প্রিয় জনের ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়া। আর তাতেই বেঁচে গেল প্রাণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এই যুগলের মনের মধ্যে থেকে যাবে এ ঘটনা। সারা জীবন তারা চাইলেও ভুলতে পারবেন না।
ঘটনাটি গত বছরের অক্টোবরের হলেও প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। ৫৬ বছরের ম্যাক্স মন্টগোমারির সঙ্গে ডেটে গিয়েছিলেন ড. অ্যান্ডি ট্রেনর। সান্তা ক্রুজ ব্রিজে প্যাডেল বোর্ডিংয়ের ইচ্ছে ছিল তাদের। আচমকাই বুকে মারাত্মক ব্যথা অনুভব করেন ম্যাক্স।
পানি থেকে উঠেই মাটিতে পড়ে যান তিনি। কিন্তু ট্রেনর একজন পেশাদার চিকিৎসক। ম্যাক্সের এরকম সমস্যা বুঝতে পেরেই অভিনব পন্থা নেন ট্রেনর। কারণ চিকিৎসক হিসেবে সিপিআর জানতেন তিনি। সেই সময়ই ঠোঁটে তীব্র চুমু খান ট্রেনর। আর বুকে চাপ দিতে থাকেন।
সিপিআর কী?
কোনো কারণে যখন হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, তখন সাময়িকভাবে হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ কিছু সময় চালিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ করাকে বলে ‘কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর)’। চুম্বনের মাধ্যমে তাই করেছেন ট্রেনর।
ম্যাক্সের জীবন বাঁচাতে চুম্বন করেছেন ট্রেনর। আর বুকে চাপ দিয়েছেন, যতক্ষণ না ডিফাইব্রিলেটর ব্যবহার করা যায়। প্রায় ১৭ মিনিট হৃদযন্ত্রের স্পন্দন বন্ধ ছিল ম্যাক্সের। চিকিৎসকরা ডিফাইব্রিলেটর দিয়েই হৃদযন্ত্রের সঙ্কোচন করেন এই জাতীয় বিপদের সময়।
শক দিয়ে ফিরিয়ে আনা হয় হৃদযন্ত্রের স্পন্দন। এই যুগলকে উদ্ধার করার ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন আলেকজান্ডার বেকার। তিনি বলেন, ‘এটা কিস অব লাইফ’। পর দিনই ম্যাক্সের করোনারি বাইপাস সার্জারি হয়।
পরস্পরের মধ্যে প্রেম বেড়ে গেছে তাদের। প্রথম চুম্বনে ছিল না কোনো রোম্যান্স। তবে সেরে ওঠার পর ফের ওই সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন দু’জনে। আর তখন ম্যাক্সকে ট্রেনর বলেন, ‘ইউ ক্যান কিস মি ফর রিয়্যাল নাউ।’
সূত্র: ডেইলি মেইল