বুধবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ৯ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

‘কারে বসাবো, বসলে তো চেয়ার ছাড়ে না’

নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান করার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারে বসাবো, বসলে তো চেয়ার ছাড়ে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেপাল সফর বিষয়ে রোববার বিকাল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি তাদের চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না- দলটির এ ঘোষণার উত্তরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এতিমদের টাকা চুরির দায়ে। দুর্নীতির মামলায় তিনি কারাগারে। ওনারই পছন্দের ফখরুদ্দিন, মইনউদ্দিনের সময় মামলা দেয়া হয়েছে। দশ বছর ধরে এই মামলা চলেছে। ১৫৪ দিন ধার্য করা হয়েছে। তারা চুরি করলে অনেকেই তাদের পক্ষে। আর আমাদের বেলায় পান থেকে চুন খসলে তোলপাড় শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোর্টের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আর দ্রুত মুক্তি চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিএনপি নির্বাচনে এলো কি এলো না এটা দেখার বিষয় নেই। বিএনপিকে বাধা দেওয়ার কিছু নেই, দাওয়াত দেওয়ারও কিছু নেই।

তিনি বলেন, ক্ষমতা থেকে সরে গেলে যারা একবার ক্ষমতায় বসে তারা আর ছাড়তে চায় না। নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানে বিধান সংরক্ষিত আছে। আমরা বহু অভিজ্ঞতা নিয়েছি। মার্শাল ল’ দেখলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেখলাম। কারে বসাবো, বসলে তো চেয়ার ছাড়ে না। আমরা আর অনির্বাচিত সরকারের হস্তেক্ষেপ দেখতে চাই না।

নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালত এ বিষয়ে একটি রায় দিয়েছে। যদি সরকার মনে করে এ সুযোগ সরকার পরপর দুবার নিতে পারে। তবে সংসদ সে সুযোগ নেয়নি। একটা সরকার থেকে আরেকটা সরকারে যে ট্রানজিশনাল সময়, এ সময়ে যেন কোনও ফাঁক না থাকে সেজন্য এটা করা।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি তো গণমাধ্যমের খবরে অগ্রাধিকার পায়। তারা পার্লামেন্টে নাই, বৈধ বিরোধী দল না। আমাদের এখানে মিডিয়ার কাছে তারা অগ্রাধিকার পাচ্ছে। তারা পার্লামেন্টে নাই, বৈধ বিরোধী দল না। আমার জায়গা হয় তিন চার পাঁচে এসে ঠেকি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, মিডিয়ার কাছে তারাই প্রিয়। আমাদের পান থেকে চুন খসতে পারবে না। খাও খাও করে ধরবে। আমাদের অপরাধ হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলন থেকে যাত্রা শুরু করে দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছে। মাত্র ৯ মাসের মধ্যে দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। ভিয়েত নামের যেটা লেগেছে ৩০ বছর।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি’র এত হোমরা চোমরা ব্যরিস্টার তারা কেন প্রমাণ করতে পারলো না খালেদা নির্দোষ। খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর আমি যখন দেখা করতে গেলাম তখন মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাদের সাথে আমি আর আলোচনায় বসব না। আমার আত্মসম্মান বোধ আছে। সে আমি ক্ষমতায় থাকি বা না থাকি। তারা নির্বাচনে আসলে আসবে না আসলে আসবে না। জোর করার কিছু নাই।

এ জাতীয় আরও খবর

শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে আরো বিনিয়োগ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

রাজধানীতে মধ্যরাতে তরুণীকে হেনস্তা, ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

কাঁদলেন সেই শিক্ষক শ্যামল কান্তি

খালেদার সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন চায় দুদক

ইসির কাছে ৫ দাবি নিয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা নিয়ে সিদ্ধান্ত ২৬ অক্টোবর

রাষ্ট্রপতির কাছে সেনা চাইবে ইসি

প্রেসক্লাবে রাতের অন্ধকারে শিক্ষকদের ওপর বেপরোয়া লাঠিচার্জ!

ব্যারিস্টার মইনুলকে আজ আদালতে তোলা হচ্ছে