‘খালেদার মুক্তি হয় আদালত, না হয় রাষ্ট্রপতির ক্ষমা’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত মুক্তি চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যথায় আদালতের মাধ্যমেই মুক্ত হতে হবে।
রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সদ্য সমাপ্ত বিমসটেকের চতুর্থ সম্মেলন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে না যাওয়া আর বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে দলের নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চান একজন গণমাধ্যমকর্মী।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তারা যেটা চাচ্ছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি, তাদেরকে কোর্টের মাধ্যমে আসতে হবে। আর দ্রুত চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এটাই সংবিধানের বিধান।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতারা সরকারকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে এলেও তেমন সম্ভাবনা একেবারে নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা তাদের আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তারা যে অপমান করেছে, তারপর তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না, আপনারা যে যা-ই বলুন, আমি অন্তত বসবো না।
বিমসটেকের মতো আঞ্চলিক বড় প্লাটফর্মের আলোচনায় মিয়ানমারের সৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি এসেছে কি-না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিমসটেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় উঠেছে রোহিঙ্গা ইস্যুটি। এছাড়া সম্মেলনের ফাঁকে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও এ নিয়ে কথা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ভুয়া ছবি দিয়ে মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর প্রোপাগান্ডামূলক একটি বই প্রকাশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এভাবে ভুয়া ছবি দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে জঘন্য কাজ করেছে। কিন্তু এটা তারা কার কাছ থেকে শিখলো? আমাদের দেশেও তো হয়েছে। একেবারে কাবা ঘরের সামনে ব্যানার ধরার ছবির মিথ্যাচারও আমরা দেখেছি। সুতরাং এসব মানুষের কাছে ধরা পড়ে যায়। মিয়ানমার সরকারও ধরা পড়ে গেছে।
সম্মেলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমসটেক সম্মেলনে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বলেছি, বাংলাদেশ বিমসটেকের মতো সহযোগিতামূলক প্লাটফর্মের সঙ্গে কাজ করে যাবে।
এতে প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী শর্মা অলি, ভুটানের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শেরিং ওয়াংচুকসহ অনেক দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের কথা তুলে ধরেন। উল্লেখ করেন এসব বৈঠকে আলোচনার বিষয়াদিও।
বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার সকালে কাঠমান্ডু যান প্রধানমন্ত্রী। দুই দিনের সফর শেষে শুক্রবার বিকেল আড়াইটার দিকে দেশে ফেরেন তিনি।
সূত্র:গো নিউজ২৪