ভেজাল পণ্য বিক্রি, আশুগঞ্জে ৪ দোকানকে জরিমানা
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর চকবাজারে বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমী বাইন হীরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর চকবাজারের চারটি দোকানকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় এই আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরা।
আশুগঞ্জ উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার যাত্রাপুর চকবাজারে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করা হচ্ছে-এমন খবরের ভিবিত্তিতে সেখানকার বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আজ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যায়। ভোক্তা অধিকার আইনের ৫১ ধারায় চারটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় সেগুলো হলো যাত্রাপুর চকবাজারের রফিকুল ইসলামের মুদির দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা, রহমত আলীর কনফেকশনানিকে আট হাজার টাকা, জীবন মিয়ার মুদির দোকানকে ৫০০ টাকা ও ইলিয়াছ মিয়ার মুদির দোকানকে ৫০০ টাকা।
ইউএনও মৌসুমী বাইন হীরা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানার আওতায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতো দুই বছর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিস্কুট, মসলাসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যায়। এ কারণে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর অধীনে এদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক এবং সামান্য জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভেজালমুক্ত ও মেয়াদ উত্তীর্ণ দ্রব্য ব্যবহার পরিহার করার জন্য প্রশাসনিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে।