যে গোপন কারণে আর বিয়ে করবেন না অপু বিশ্বাস
তারকাদের প্রেম, বাগদান ও বিয়েটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লোকচক্ষুর আড়ালেই হয়। তবে এক সময় বিয়ে আর মধুচন্দ্রিমার গোপন ছবি ফেসবুকের দেয়ালের একটি বড় জায়গা দখল করে নেয়। অনেকের ক্ষেত্রে সেই মধুর সময়টা বেশি দিন স্থায়ী হয় না। হলিউড, বলিউড কিংবা ঢালিউড- সবক্ষেত্রেই একই চিত্র। তবে বিচ্ছেদের পরেই ক্যারিয়ারে বেশি মনোযোগী হন তারকারা। কেউ কেউ তো আবার দাবি করেন মুক্ত জীবনেই বেশি সুখ।
তেমনই একজন হালের চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। সবার অগোচরেই ঘর বেঁধেছিলেন নাম্বার ওয়ান শাকিব খানকে বিয়ে করে। প্রিয় মানুষটার জন্য তিনি নিজের ধর্মও ত্যাগ করেন। অপু বিশ্বাস থেকে হন অপু ইসলাম। তাদের কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান। কিন্তু সেই সন্তানকে ঘিরেই হঠাৎ ভেঙে যায় বাংলা ছবির জনপ্রিয় এ জুটির সংসার। তবে এ বিয়েটাকে জীবনের একটা মহাভুল বলে মনে করেন অপু। তাই এ ভুলটা আর দ্বিতীয়বার করতে চান না। ছেলে আব্রাম খান জয়ই এখন তার কাছে সব।
অপু বিশ্বাস বললেন, ‘ভুল করেছি, মাসুলও দিয়েছি। আর কোনো ভুল করতে চাচ্ছি না। এখন থেকে কাজ নিয়ে থাকতে চাই। ভক্তদের ভালো কিছু সিনেমা উপহার দিতে চাই। সব অভিনেতার বিপরীতেই অভিনয় করতে চাই।’
অপু এখন কাজ করছেন নিয়মিত। চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’ ছবিতে। পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস। বিপরীতে থাকবেন বাপ্পী চৌধুরী। এ ছাড়া রফিক শিকদারের নির্মিতব্য ‘ওপারে চন্দ্রাবতী’ ছবিতেও অভিনয় করবেন অপু। ছবিতে নায়ক হিসেবে রয়েছেন সাইমন সাইমন সাদিক।
২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল ভালোবেসে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব-অপু। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তাদের ঘরে আসে ছেলে আব্রাম খান জয়। বিষয়টি জানাজানি হয় গত বছর ১০ এপ্রিল বিকেলে। তার কয়েক মাস পর অর্থাৎ গত ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসকে তালাক নোটিশ পাঠান শাকিব খান। নিয়মানুযায়ী নোটিশ পাঠানোর তিন মাস পর তা কার্যকর হয়। সেই হিসাবে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে শাকিব খানের তালাক কার্যকর হয়।