‘যেখানে ভোটের অধিকারই নেই, সেখানে ভোটে গিয়ে কী করবো?’
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ‘যেখানে ভোটের অধিকারই নেই, সেখানে ভোটে গিয়ে কী করবো?’
অনলাইন পোর্টাল সারাবাংলা’র এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি জোটের লাভ কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কর্নেল (অব.) অলি বলেন, গেলেও লাভ কী হবে? যেখানে আপনি আপনার ভোট দিতে পারবেন না, সেখানে আপনি কীসের জন্য যাবেন? ভোট যদি দিতে পারেন, হান্ড্রেড পার্সেন্ট যাওয়া উচিত। যেখানে ভোটের অধিকারই নেই, সেখানে ভোটে গিয়ে কী করবেন? আজকে ভোটের অধিকার নেই বলেই তো এসব কথা আসছে।
যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যহত রাখতে হয়, তাহলে ভোটে অংশগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু এই সুযোগটা তো সরকারকেই তৈরি করে দিতে হবে। যে সমস্যা দেশে আছে, সরকারের পক্ষ থেকে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। এটাকে স্বীকার করে নিয়ে বিরোধী জোটগুলোর সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা। দেশের প্রবীণ এই রাজনীতিকের রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার।
জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠনের পর ড. (কর্নেল) অলি আহমদ বীর বিক্রম সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন। তখনও ১৩ বছর চাকরি ছিল তার। জিয়াউর রহমানের পর খালেদা জিয়া বিএনপির হাল ধরলে তার অন্যতম প্রধান সহযোগী হয়ে ওঠেন অলি আহমদ। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
দীর্ঘকাল বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থাকার পর ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ. কিউ. এম. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (বি. চৌধুরী) সঙ্গে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) গঠন করেন। এরপর বি. চৌধুরীর সঙ্গে মতবিরোধ হলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে একত্রে আন্দোলন ও নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকা হয়নি তার। ২০১২ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে যোগ দেন ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। এখনো তিনি বিএনপি জোটেই আছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ৬ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। মন্ত্রী হয়েছেন ৫ বার।
৭৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিক সম্প্রতি তার বাসায় সারাবাংলাকে দেন একান্ত সাক্ষাৎকার। সেখানে উঠে আসে সমকালীন রাজনীতি নিয়ে তার ব্যক্তিগত ভাবনা এবং তার দল ও জোটের রাজনৈতিক অবস্থান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারাবাংলার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আসাদ জামান। ছবি তুলেছেন সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট হাবিবুর রহমান।