‘অভিনেত্রী পায়েলের মৃত্যু’ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল পুলিশ!
ভারতের শিলিগুড়ির একটি হোটেল থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছিল ওপার বাংলার অভিনেত্রী পায়েল চক্রবর্তীর। প্রথমদিকে সবার ধারণা ছিল, মানসিক অবসাদের কারণে আত্মহত্যা করেছে এই অভিনেত্রী। এমনকি পায়েলের বাবাও মেয়ের মৃত্যুর জন্য মানসিক টানাপড়েনকেই দায়ী করেছিলেন।
তবুও শিলিগুড়ি পুলিশ অভিনেত্রী পায়েলের মৃত্যু রহস্য নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যায়। আর তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অভিনেত্রী পায়েলের যে ফোন নম্বর পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল, সেটির নাকি সুইচড অফ হয়ে গিয়েছিল কলকাতাতেই। তার ফোনের শেষ টাওয়ার লোকেশন তাই বলছে। মোবাইল পরিষেবা সংস্থার কাছ থেকে এরকমই জানতে পেরেছে পুলিশ। যার ফলে খোঁজ শুরু হয়েছে, পায়েল শিলিগুড়িতে এসে অন্য কোনও মোবাইল ফোনের সংযোগ নিয়েছিলেন কিনা।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) গৌরব লাল বলেন, ‘আমরা মোবাইল সংস্থার কাছ থেকে জানতে পেরেছি, পায়েলের মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৩ সেপ্টেম্বর রাতে। ওই সিমকার্ড অন্য কোনও মোবাইলে ভরা হয়েছিল কিনা তা যাচাই করে দেখছি।’
৫ সেপ্টেম্বর বুধবার শহরের একটি হোটেলের একটি ঘর থেকে পায়েলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরেও হোটেলের ঘরে কোথাও তার মোবাইলের হদিশ পাওয়া যায়নি। পায়েলের কল রেকর্ডের তথ্যও ওই সংস্থার কাছে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশের তথ্যের সঙ্গে পায়েলের বাবার দাবিও মিলে গিয়েছে। পায়েলের বাবা প্রবীর গুহ জানিয়েছিলেন, সোমবার অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বরই তার মেয়ের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছিল পরিবারের। মঙ্গলবার থেকেই পায়েলের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে সুইচড অফ শোনা যাচ্ছিল।
তাহলে কী মন খারাপ বলে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল পায়েল? পুলিশের একটি অংশ বলছে, সেরকম হওয়ার সম্ভাবনা কম।
মানসিক অবসাদের মধ্যে কলকাতা থেকে হঠাৎই শিলিগুড়ি এসে পড়া এবং তারপর টোটোয় চেপে পছন্দের হোটেল খুঁজতে যাওয়ার ঘটনা কিন্তু সেটা বলছে না বলেই সন্দেহ পুলিশের একাংশের।
পুলিশের পক্ষ থেকে মোবাইল পরিষেবা সংস্থার কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছে, সোমবারের পরে পায়েলের পুরনো ওই সিমকার্ড অন্য কোনও ফোনে ভরা হয়েছিল কি না। পায়েলের পরিবারেরও দাবি, ফোন পাওয়া গেলে শেষ পর্যন্ত কার কার সঙ্গে পায়েল কথা বলেছে তা অন্তত জানা দরকার।