যুবকের সঙ্গে প্রেমে মত্ত স্ত্রী, ভয়ংকর কাণ্ড স্বামীর!
সতীশ ও রূপা দু’জনে স্বামী-স্ত্রী। ৯ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন তারা। তাদের ঘরে দুটি সন্তানও রয়েছে।সতীশের অভিযোগ, তার গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রূপার। সতীশ ওই যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করতে স্ত্রী রূপাকে বহু বার নিষেধ করেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। যদিও নিজের স্ত্রীর সঙ্গে এমন সম্পর্কের কারণে ওই যুবককেও হুমকি দিয়েছিলেন সতীশ।
পূর্বের ন্যায় গত রবিবার সন্ধ্যায়ও বেঙ্গালোর থেকে বাড়িতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে ওই যুবককে দেখতে পান সতীশ। ব্যস, এই অবস্থা দেখে রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে দু’জনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন সতীশ।
তার হাতে থাকা ওই অস্ত্র দিয়ে তাদের দু’জনকে বার বার কোপাতে থাকেন। এসময় গুরুতর জখম অবস্থায় সেখান থেকে পালিয়ে যান ওই যুবক। তবে স্বামী সতীশের হাত থেকে আর বাঁচতে পারেননি স্ত্রী রূপা। ধারালো সেই অস্ত্র দিয়েই রূপার ঘার থেকে মাথা আলাদা করে দেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, এরপর একটি ব্যাগে রূপার কাটা মাথা নিয়ে মোটরসাইকেলে রওনা দেন থানার উদ্দেশ্যে। প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে থানায় ঢুকে ব্যাগ থেকে স্ত্রীর কাটা মাথা বের করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন সতীশ।
পুলিশের কাছে তার দাবি, কাটা ওই মাথাটি তার স্ত্রীর। নিজের হাতেই তাকে খুন করেছেন তিনি। এরপর পুলিশের কাছে ধরা দিতে এসেছেন।ভারতের কর্নাটকের চিকমাগালু শহরে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।সতীশের কথা শোনার পর গত রবিবার স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে তাকে আটক করেছে পুলিশ।
চিকমাগালুরের পুলিশ সুপার অন্নামালাই কাপ্পাস্বামী জানান, স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে সতীশকে ৩০২ ধারায় আটক করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তার এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে সতীশকে এক দিনের জেল হেফাজতে নেয়া হয়েছে।পুলিশ সূত্র জানায়, ৩০ বছর বয়সী সতীশ বিয়ে করেছিলেন নয় বছর আগে। তার স্ত্রীর নাম রূপা। তাদের দু’টি সন্তানও রয়েছে।