পাঠাও ১০০ মিলিয়ন ডলারে, তিন বেকার যুবক যার মালিক!
নিউজ ডেস্ক: পাঠাও মালিক ১০০ মিলিয়ন USD বা বাংলাদেশী টাকায় ৮২০ কোটি টাকা যা শুরু একেবারে শুন্য থেকে।
যেখানে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাফ বেজুসও তিন বছরের মধ্যে এমন সাফল্য পায়নি।(Though they were in different critical situation).
এটি বাংলাদেশের তরুনদের একটি অনন্য রেকর্ড, যার জন্য আমরা গর্ব করতে পারি। এটি যদি বিশ্বের অন্য কোন দেশের তরুণরা করতো তাহলে পুরো বিশ্বে সাড়া পড়ে যেত প্রচারণার। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ সেটা জানেই না।
এই গল্পটা তাদের জন্য যারা ভাবে বাংলাদেশে কোন সুযোগ-সুবিধা নাই, বড় অংকের ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া ব্যবসা হয়না এবং এটা কখনই সম্ভব না সৎ উপায়ে কোটি টাকা ইনকাম করা।
বাংলাদেশের তিনজন যুবক ১০০ মিলিয়ন ডলার বা ৮২০ কোটি টাকার রাইড শেয়ারিং কোম্পানী পাঠাও যখন শুরু করেছিল তখন তাদের কোন মুলধন ছিলনা। তারা সব কিছু করেছিল সততা এবং নীতিগত ভাবে।
২০১৫ সালে তিনজন বন্ধু মিলে পাঠাও কোম্পানী শুরু করে বাই-সাইকেলে পন্য ডেলিভারী দিবার জন্য। তাদের সম্পদ বলতে ছিল তিনটা বাই-সাইকেল।
*** তিনজন বন্ধু হলঃ
১। হোসাইন এম ইলিয়াস, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।
২। সিফাত আদনান, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (RUET)
৩। ফাহিম সালেহ, বেন্টলি ইউনিভার্সিটি, USA.
খুব সল্প সময়ের মধ্যে তারা একটি এন্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে মটর বাইকে রাইড শেয়ারিং ব্যবসা শুরু করলো। তারা মোটামুটি ভালো সফলতা পেতে শুরু করলো। তাদের সফলতা দেখে বিভিন্ন বিদেশী ইনভেস্টররা তাদের ব্যবসায় ইনভেস্ট করলো। যার ফলে আমাদের সবার পরিচিত মোটর বাইক রাইড শেয়ারিং কোম্পানী পাঠাও আজ ১০০ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় ৮২০ কোটি টাকার মালিক। (সূত্র: ফেসবুক থেকে সংগ্রহিত)