থমথমে সৌদি, আতঙ্কে প্রবাসী ব্যবসায়ীরা
সৌদি আরবে বেকারত্বের হার কমাতে দেশটির সরকার একের পর এক পরিকল্পনা নিচ্ছে। আর এসব পরিকল্পনার বেড়াজালে আটকে বিপাকে পড়ছেন প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। আরবির নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন আজ, আজ থেকে চার ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোকবল নিয়োগে ৭০ শতাংশ সৌদিকরণ বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি সরকার। এ নিয়মের বাইরে কাউকে পেলে জেল থেকে শুরু করে মোটা অঙ্কের জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
এমনকি আজ থেকে বিভিন্ন সুপারমল কিংবা প্রতিষ্ঠানে পুলিশি অভিযান চলবে। এমতাবস্থায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে দেশটিতে।
(১) গাড়ি ও মোটরবাইক শোরুমে, (২) পুরুষ ও শিশুদের জন্য তৈরি পোশাক (গার্মেন্টস সামগ্রী ), (৩) বাড়ির ও অফিসের আসবাবপত্রের দোকানে এবং (৪) নিত্য প্রয়োজনীয় কিচেন সামগ্রীর দোকানে লোকবল নিয়োগে ৭০ শতাংশ সৌদিকরণ আজ থেকে কার্যকর হলো।
যে চার ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য এ নিয়মন চালু করা হয়েছে তার মধ্যে গার্মেন্টস সেক্টরে সব থেকে বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন। আর এমন নিয়ম অব্যাহত থাকলে দেশে রেমিটেন্সের উপর বড় ধরনের ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
এদিকে রিয়াদের বেশকিছু সুপারমলসহ নানা স্থানে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই চার ধরনের দোকান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, তারা আতঙ্কে রয়েছেন। কী করবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
৭০ শতাংশ সৌদিকরণ নিয়ে তারা বলেন, আমরা যেভাবে কাজ করবো, আমাদের প্রতিষ্ঠানে সেভাবে কখনো সৌদি দিয়ে কাজ করিয়ে লাভের মুখ দেখবো না আমরা। তার উপরে বর্তমান বাজার খুব মন্দা।
সম্প্রতি সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় জানায়, ১২টি সেক্টরে ৭০ শতাংশ সৌদিকরণ বাস্তবায়নের জন্য তিন ধাপে পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রথম ধাপ আজ শুরু হলো।
দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে ১০ নভেম্বর। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে-
১. বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির দোকান
২. চশমার দোকান
৩. ঘড়ির দোকান
তৃতীয় ধাপ আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি। এ ধাপে রয়েছে
১। চিকিৎসার যন্ত্রপাতি
২। গৃহনির্মাণ সামগ্রী
৩। গাড়ির যন্ত্রাংশ
৪। কার্পেট ও পাপোশ
৫। চকোলেট বা মিষ্টান্ন জাতীয় পণ্যের দোকান
উল্লিখিত সবগুলো সেক্টরে বর্তমানে বাংলাদেশিসহ প্রবাসী শ্রমিকরা কর্মরত আছেন। সৌদিকরণের এই ধারাবাহিক প্রক্রিয়াতে কাজ হারাবেন সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ লাখ লাখ বিদেশি নাগরিক।