শুক্রবার, ১৯শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ৪ঠা কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

‘মা আর বাবা আমাকে পুড়িয়ে দিয়েছে’

স্বামীকে ছেড়ে একজন নতুন পরুষসঙ্গী জুটিয়ে নিয়েছিলেন অরুণা (ছদ্ম নাম)। কিন্তু তাদের মধু চন্দ্রিমায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছিলো ৪ বছরের শিশুটি। স্বামীকে ছেড়ে আসলেও বাচ্চাটিকে তো দেখভাল তাকেই করতে হচ্ছে। এ নিয়ে খুবই অশান্তিতে ছিলেন অরুণা। এ থেকে উদ্ধারের পথ তার জানা ছিলো না। তাই মেয়েটাকে প্রায়ই নির্মমভাবে পেটাতো সে। শুধু সে নয়, ওই অবুঝ শিশুটাকে মারধোর করত তার নতুন প্রেমিকও। অথচ অবুঝ মেয়েটি ওই লোকটাকেই কিনা ‘বাবা’ বলে ডাকতো।

গত সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) অত্যাচারের মাত্রাটা সীমা ছাড়িয়েছিলো। অরুণা ও তার প্রেমিক মিলে মেয়েটিকে কেবল মারধোর করেই খান্ত হয়নি। একটা লোহার চামচ গরম করে তার শরীরে ছ্যাকা দিতে থাকে। তখন শিশুটির কান্না শুনে স্থানীয় পুলিশকে জানান প্রতিবেশীরা। পুলিশ তখন শহরের মানবাধিকার কর্মী আচুথা রায়কে খবর দেয়। তিনি ও তার সঙ্গীরা এসে ওই মায়ের কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। তারা বাচ্চাটিকে এক সরকারি শিশু আশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

এ ঘটনায় ওই নারী ও তার পার্টনারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।উদ্ধার হওয়ার পর শিশুটি মানবাধিকার কর্মীদের বলে, ‘আমার বাবা আমাকে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি তো তখন খাচ্ছিলাম।’ শিশুটির কথা শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি এনজিও কর্মীরা।

মেয়েটি আরো বলে, ‘বাবা প্রথমে আমাকে মারে। তারপর আমার গায়ে গরম চামচ লাগিয়ে দেয়।’পুলিশি তদন্তে আরো জানা যায়, ইদানিং ২৫ বছর বয়সী ওই নারীর সঙ্গে তার প্রেমিকের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না। এ নিয়ে হতাশায় ভুগছিলো সে। অরুণার ধারণা, মেয়ের জন্যই প্রেমিক তাকে আর পছন্দ করছে না। আর সত্যিই শিশুটিকে পছন্দ করতো না তার নতুন সঙ্গী। তাই দুজন মিলেই মেয়েটিকে এভাবে পুড়িয়ে দিয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি