জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে- মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী

আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)সংবাদদাতা ॥ মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট মোহাম্মদ ছায়েদুল হক এমপি বলেছেন,আমরা আপনাদের পাশে আছি।আপনারা নির্ভয়ে থাকবেন। নাসিরনগরের এ হামলা-ভাংচুরের সাথে যারাই জড়িত তাদেরকে খোঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে। অভিযুক্তকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পব্ত্রি কাবা শরীফ অবমাননার করে আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করার প্রতিবাদে মিছিল চলাকালে নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,বাড়ি ঘর ও মন্দিরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে স্থানীয় গৌর মন্দির চত্বরে তিনি একথা বলেন। নাসিরনগর গৌর মন্দির,দত্তবাড়ি মন্দির,কালিবাড়ি মন্দির,জগন্নাথ মন্দিরসহ বিভিন্ন বাড়িঘর পরিদর্শন করেন।এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার,উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ,সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়,সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম,কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াছ আলীসহ উপজেলা আওয়ামীলীগীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সকালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ)এর সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার এমপির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা ও উপজেলার দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের গঠিত তদন্ত টীমের প্রধান চট্রগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে তদন্ত টীম আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বাড়িঘরসহ মন্দির পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য,ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে শনিবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাসকে (৩০) আটক করে এলাকাবাসি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতেই রসরাজের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে রবিবার সকালে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের পাশাপাশি একদল লোক বের হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর করে। এসময় হামলাকারীরা ব্যাপক লুটপাটও করে। তাদের হামলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েক জন আহত হয়।খবর পেয়ে পুলিশ,বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।