নিজস্ব প্রতিবেদক : বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্য শেষ হয়েছে। এই প্রকল্প থেকে চলতি নভেম্বর মাসেই দৈনিক ১৪ কোটি লিটার পানি পাবে নগরবাসী। এখন উৎপাদিত পানির ‘টেস্টিং’ চলছে। এটা হচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসারতিন মেগা প্রকল্পের একটি। বাকি দুই মেগা প্রকল্প ‘চিটাগাং ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পের অধীনে রাঙ্গুনিয়ায় মদুনাঘাট ও কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে।
জানা গেছে, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প-১ এর টেস্টিংকৃত পানি গত অক্টোবরেই বায়েজিদ রিজার্ভার পর্যন্ত এসেছে। এর আগের দিন মদুনাঘাট পর্যন্ত এসেছিল। নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্প উদ্বোধন করতে পারেন। এরপর পানি সরবরাহ করা হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসার সচিব মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে দৈনিক ১৪ কোটি লিটার পানি পাওয়ার আশা করছি আমরা। তখন নগরীর পানির সংকট অনেকটা লাঘব হবে।’
তিনি আরও বলেন, মদুনাঘাট পানি প্রকল্পটি থেকে ২০১৮ সাল নাগাদ দৈনিক আরো ৯ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাবে। তখন পানির সংকট আরো কমে যাবে। যে সব এলাকায় পাইপ লাইন আছে- কিন্তু পানি পাওয়া যায় না-সে সব এলাকায়ও তখন পানি পাওয়া যাবে। এরপর কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প-২’এর কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে। এই প্রকল্প থেকেও দৈনিক ১৪ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাবে।
সূত্র মতে, চট্টগ্রাম ওয়াসার দ্বিতীয় মেগা প্রকল্প ‘কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প-২’। এই প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় হবে চার হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। জাইকার অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার সচিব মো. শামসুদোহা জানান, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প ফেজ-২ মোট ৫টি প্যাকেজে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ঠিকাদারের সাথে চুক্তির পর এখন কাজ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। প্রকল্পের অধীনে রাঙ্গুনিয়া থেকে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে পাইপ লাইন দিয়ে নগরীর নাসিরাবাদ এবং হালিশহর বি ব্লকে রিজার্ভারে পানি মজুদ করা হবে। তারপর সেখান থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে নগরীতে সরবরাহ করা হবে। এই প্রকল্পের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট হচ্ছে রাঙ্গুনিয়ায় আগের প্রকল্পের কাছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার তৃতীয় মেগা প্রকল্প হলো ‘চিটাগাং ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্পটি’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মদুনাঘাট থেকে পানি পরিশোধন করে দৈনিক নয় কোটি লিটার পানি নগরীতে সরবরাহ করা হবে। এই প্রকল্পের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। ২০১৮ সালের শেষের দিকে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। মোট এক হাজার ৭৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মধ্যে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে ৯৭২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৮৪ কোটি টাকা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা দিচ্ছে ২১ কোটি টাকা।