স্পোর্টস ডেস্ক :রিও অলিম্পিকে রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে স্বর্ণ পদক জয়ী ‘বাংলার বাঘিনী’ খ্যাত বাংলাদেশি-বংশোদ্ভুত রুশ তরুণী মার্গারিটা মামুন বাংলাদেশে আসবেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ২০১৫ সালে মস্কো সফরকালে মার্গারিতা মামুনের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয় উদযাপনে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। তখন মামুনের বাবা বাংলাদেশি আব্দুল্লাহ আল মামুন মেয়েকে দেশে নিয়ে আসার কথা দিয়েছেন বলে রবিবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন শাহরিয়ার আলম। একই সঙ্গে ওই নৈশভোজের কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন।
এতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, ইউরোপিয়ান চ্যম্পিায়নশিপ জেতার ২ দিন পরে গত বছর এই সময়ে তাদের সম্মানে নৈশ্যভোজের আয়োজন করেছিলাম মস্কোর অদূরে। মামুন ভাই কথা দিয়েছেন অলিম্পিকের পরে মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। তখন “বাংলার বাঘিনীর”র জন্য ফুলের তোড়াটা নিশ্চয় আরও অনেক বড় হবে।
মার্গারিটার বাবা আবদুল্লাহ আল মামুন পেশায় একজন মেরিন প্রকৌশলী। তার মা আনা একজন সাবেক রিদমিক জিমন্যাস্টস। আশির দশকে আবদুল্লাহ আল মামুন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়াশোনা করতে গিয়ে সেখানেই বিয়ে করে স্থায়ী হন। রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে এর আগে বিশ্ব রেকর্ডও করেছিলেন মার্গারিটা।
রিও অলিম্পিকের ১৫তম দিনে রিদমিক জিমন্যাস্টিকসের অল অ্যারাউন্ড ইভেন্টে ৭৬.৪৮৩ পয়েন্ট পেয়ে স্বর্ণ জিতেন মার্গারিটা মামুন। আগের দিন হিটে প্রথম হয়েই ফাইনালে উঠেছিলেন মার্গারিটা। সেখানে চার ইভেন্ট হুপ, বল, ক্লাব ও রিবনে তার সর্বমোট স্কোর ছিল ৭৪.৩৮৩। ফাইনালে হিটের স্কোরকেও ছাড়িয়ে যান তিনি।
স্বর্ণ জয়ের পর মামুন বলেন, “আমি এটা জেনে খুব খুশি যে বাংলাদেশের অনেক ভক্ত আমাকে সমর্থন করছে। আমি বাংলায় ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনতে পারি। যখন ছোটো ছিলাম, আমার বাবা আমাকে বাংলা শেখাতেন; কিন্তু আমি সব ভুলে গেছি।”
জুনিয়র পর্যায়ে একবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা মার্গারিটা মামুন বলেন, “আমার দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল, তাই আমি জুনিয়র হিসেবে একটি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি সবসময় রাশিয়ায় থেকেছি আর অনুশীলন করেছি দেখে এরপর আমি রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করি।”
গত কয়েক বছরে এই অঙ্গনে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন রিটা। এর মধ্যে জিতেছেন রাশিয়ার রিদমিক জিমন্যাস্ট দলের প্রধান কোচের মনও। আর তাই তো সে কোচ রিটার নাম দিয়েছেন ‘দ্য বেঙ্গল টাইগ্রেস’ বা ‘বাংলার বাঘিনী’। তার এই বিশেষ নামটি আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও পাওয়া যায়, সঙ্গে উইকিপিডিয়াতেও।