আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে ভারতের বিশেষ প্রতিনিধি দল
বিশেষ প্রতিনিধি : আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান প্রকল্পের কাজ দ্রুত চলছে। আজ সোমবার দুপুরে এই কাজের অগ্রগতি দেখতে ভারতের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল পরির্দশন করেছেন। ইন্ডিয়ান রেলওয়ের ডিএস (এসবি) শ্রী হিতেশ যুগেন্দ্র লাল রাজপাল, আখাউড়া-আগরতলা রেল প্রকল্পের উপদেষ্টা শ্রী তরুণ হরিয়া, কর্মকর্তা শ্রী গৌরব গান্ধি ও ইউএস (ডিপিএ-১) মিস সেলনি সাহাই নামে ৪জনের এই প্রতিনিধিদল আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের আখাউড়া গঙ্গাসাগর থেকে সীমান্ত গ্রাম শিবনগর পর্যন্ত এই প্রকল্পের ৭ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখেন এবং কাজের বিভিন্ন বিষয়ের খোজখবর নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এই প্রকল্পের পরিচালক ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, আখাউড়া থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ আরিফুল আমিনসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের কযেকজন কর্মকর্তা।
পরির্দশন শেষে এই প্রকল্পের পরিচালক শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ভারতের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজ করছে। প্রকল্প কাজে কোন জটিলতা নেই তবে ধানের ফসলের জন্য কিছু এলাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে তারপরও যথা সময়ে কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আখাউড়া রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ জানায়, বাংলাদেশের আখাউড়া গঙ্গাসাগর স্টেশন এলাকা থেকে সীমান্ত গ্রাম শিবনগর পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ কিলোমিটার কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ভারতের টেক্সমেকো। এই কাজের জন্য জন্য ২৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ অংশের পুরো ১০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
প্রকৌশল বিভাগ আরো জানায়, বাংলাদেশের দিকে প্রথম রেলস্টেশন হবে আখাউড়া গঙ্গাসাগর। ভারতের নিশ্চিন্তপুর হবে সীমান্ত স্টেশন ও রেল ইয়ার্ড। আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ হবে ডুয়েল গেজ। বাংলাদেশ অংশে ১০ কিলোমিটার মূল রেলপথ ছাড়াও ৪ দশমিক ২৫ কিলোমিটার লুপ লাইন রাখা হবে। ৩টি মেজর ও ২০টি মাইনর ব্রীজ নির্মাণ হবে। আখাউড়া, গঙ্গাসাগর ও নিশ্চিন্তপুর স্টেশনে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিগনালিং ব্যবস্থাও স্থাপন করা হবে। এই রেললাইন নির্মাণ কাজ তদারকি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতের ইরকন।