রবিবার, ২৮শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ১৩ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

অবশেষে মূলধারায় ফিরলেন বিএনপির সংস্কারপন্থী নেতারা

বিএনপির ১১ সংস্কারপন্থী নেতা অবশেষে মূলধারায় ফিরলেন। এক সময় এই নেতারা দলের কেন্দ্রীয় পদে ছিলেন। তাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, হুইপ ও সংসদ সদস্য রয়েছেন। এক-এগারোর সরকারের সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি এই নেতারা।নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছানোর অংশ হিসেবে নিষ্ক্রিয় নেতাদের সক্রিয় হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে বিএনপি। প্রথম দফায় সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত ১১ নেতাকে দলে নেয়া হয়েছে।

এসব নেতা অতীতের ভুল স্বীকার করে দলের মূলধারায় ফিরতে বিএনপিপ্রধান বেগম খালেদা জিয়ার কাছে আবেদন করেছিলেন বলে জানা গেছে।বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সংস্কারপন্থী এসব নেতা সাক্ষাৎ করেন। এসময় মহাসচিব তাদের দলে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।

দলে ফেরা সংস্কারপন্থীরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী আলমগীর কবির, সাবেক হুইপ আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান, আবু হেনা জিএম সিরাজ, সর্দার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, নজির হোসেন, ডা. জিয়াউল হক, আতাউর রহমান আঙ্গুর, ইলেন ভুট্টো, শফিকুল ইসলাম তালুকদার, শহিদুল আলম তালুকদার ও জহির উদ্দিন স্বপন।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে বিএনপি শিগগিরই চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করছে। মাঠের আন্দোলনে নামার আগে সবাইকে নিয়ে শক্ত প্লাটফর্ম তৈরি করতে চায় দলটি। এ লক্ষ্যে দলের পুরনো নেতাদের মধ্যে যারা যেখানে আছেন সবাইকে কাছে টানার চেষ্টা করছে।

এসব নেতাকে দলে ফেরানো নিয়ে গণমাধ্যমকে তেমন কিছু জানায়নি বিএনপি। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টিকে অন্যভাবে উপস্থাপন করে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলকে সময় উপোযোগী ও ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী ধারার ঐক্য নিশ্চিত করে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আজ দেশে বিএনপিসহ সকল গণতন্ত্রকামী দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে বলা হয়, চলমান জাতীয় সংকট, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সব নির্যাতিত নেতাকর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার এবং জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সূত্র: বিডি২৪লাইভ