মঙ্গলবার, ৩০শে অক্টোবর, ২০১৮ ইং ১৫ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

মূত্রত্যাগ করে নদীর পানি লবণাক্ত করছেন বরিশালবাসীরা! একটি অতি মাত্রায় মজার পোস্ট….!

বরিশালগামী লঞ্চগুলোতে প্রায়শই লুঙ্গি তুলে লঞ্চ থেকে পানিতে মুতার দৃশ্য চোখে পড়ে। এতে করে একদিকে যেমন পানি দূষণ হচ্ছে তেমনি লবণের পরিমাণও বাড়ছে। দিনে দিনে মুতের সমুদ্রে পরিণত হচ্ছে পদ্মা নদী।
মুতে পদ্মার পানি দূষিত করছেন বরিশালবাসী। পদ্মা হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা।
সাম্প্রতিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল তাদের দীর্ঘ গবেষণা শেষে দেয়া বক্তব্যে বলেছেন, এভাবে নদীতে মোতামুতি বন্ধ না করলে একদিন বঙ্গোপসাগরের চেয়ে পদ্মার পানির লবণাক্ততা বেড়ে যাবে।

সাগরের পানি লবণাক্ত, কিন্তু নদীর পানি নয় কেন?

নদীর পানি সাগরে গিয়ে পড়ে। কিন্তু এ দুয়ের পার্থক্য হলো, সাগরের পানি জমা হচ্ছে চার থেকে পাঁচ শ কোটি বছর ধরে, কিন্তু সে তুলনায় নদীর পানি হয়তো মাত্র কয়েক লাখ বছর ধরে বয়ে চলেছে। আরেকটি পার্থক্য হলো, নদী প্রবাহিত হওয়ার সময় মাটির লবণ ও খনিজ পদার্থ ধুয়ে সাগরে নিয়ে যায়, নদীর পানিতে এসব পদার্থ জমে থাকার সুযোগ কম। সাগরের পানি বাষ্পীভূত হয়ে আকাশে ওঠে ও বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে। এভাবে সাগরে লবণের অনুপাত বাড়তে থাকে। নদীতে সে রকম হতে পারে না। এখানে মনে রাখা দরকার, জোয়ারের সময় নদীর মোহনায় সাগরের পানি চলে আসে। এ কারণে খুলনার ভৈরব, রূপসা প্রভৃতি নদীর পানি কিছুটা লবণাক্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ছে, এ জন্য আমাদের দেশের কিছু নদীর পানি মোহনার পরও উজানে বেশ কিছুদূর পর্যন্ত লবণাক্ত হয়ে পড়ছে।
#সংগৃহীত