প্লেয়ার ড্রাফট শুরুর আগেই মুশফিকের চমক
বিপিএলে প্লেয়ার ড্রাফট শুরুর আগেই একদফা নাটক হয়ে গেলো মুশফিকুর রহীমকে নিয়ে। তিনি আইকন ক্রিকেটার। একটি ফ্রাঞ্চাইজি নিশ্চিতভাবেই নিতে হবে তাকে। তাকে দিয়েই আগামী বিপিএলে পরিচিতি পাবে সেই ফ্রাঞ্চাইজিটি। গত আসরে তিনি ছিলেন রাজশাহী কিংসে। সেই রাজশাহী এবার মোস্তাফিজকে নিয়েছে আইকন হিসেবে। ছেড়ে দিয়েছে মুশফিককে। অপশন ছিল সিলেট এবং চট্টগ্রামের হাতে। যদিও সিলেট আইকন হিসেবে দলে নিয়েছে লিটন দাসকে। শেষ পর্যন্ত অবধারিতভাবেই চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা মুশফিকের।
কিন্তু বিপিএল ড্রাফট টেবিলে ওঠার আগেই এ নিয়ে কিছু নাটক তৈরি হয়। যে কারণে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, আইকন হলেও প্লেয়ার্স ড্রাফটে উঠবে মুশফিকের নাম। যে কোনো ফ্রাঞ্চাইজি ড্রাফট থেকে তাকে কিনে নিতে পারবে।তবে ড্রাফট শুরু হওয়ার আগেই আরেক পশলা নাটকীয়তা। শেষ পর্যন্ত মুশফিক নাম লেখালেন সেই চিটাগাং ভাইকিংসেই। ড্রাফট শুরু হওয়ার আগেই চিটাগাং ভাইকিংসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে গেছে মুশফিকের। জানা গেছে, ৭৫ লাখ টাকায় দফারফা হয়েছে মুশফিকের সঙ্গে চিটাগাং ভাইকিংসের। এর মধ্যে বোনাস কিংবা অন্য কোনো কিছুই নেই। এটা রিটেই চুক্তির মূল্য।
বিপিএলের গত মৌসুম শেষেই জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম মনস্থির করে ফেলেছিলেন পরের মৌসুম রাজশাহী কিংসের হয়ে আর খেলবেন না। ঠিক করেছিলেন বেছে নেবেন নতুন কোনো দল। রাজশাহীও শেষ পর্যন্ত আর তাকে রাখেনি। কিন্তু আজকের আগ পর্যন্ত কোনো দলই পাননি মুশফিক। যে কারণে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে থাকার কথা ছিল মুশফিকের নাম। যদিও কোনো আইকন বা এ প্লাস গ্রেডের ক্রিকেটার না থাকা চিটাগাং ভাইকিংস এবং সিলেট সিক্সার্স তার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিল। শেষপর্যন্ত কোনো ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেনি দুই পক্ষ।
ফ্রি থাকা মুশফিককে নেয়ার দৌড়ে সবার আগে ছিলো সিলেটই। জানা গেছে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজিরা মুশফিকুর রহিমকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে চেয়েছিল। সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি ও মুশফিকের ঘনিষ্ঠ সুত্র জানিয়েছে সে টাকার অঙ্কটা প্রায় কোটি টাকা।কিন্তু মুশফিকের চাহিদা ছিলো আরও বেশি। যা দিতে রাজি হয়নি সিলেট। অন্যদিকে আবার নতুন আইকন হওয়া লিটন কুমার দাস এশিয়া কাপ ফাইনালে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরে তাকেই নিজেদের আইকন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বসে সিলেট সিক্সার্স ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
তখনো বাকি ছিলো চট্টগ্রাম ভাইকিংসের এ প্লাস গ্রেডের খেলোয়াড় নির্ধারণ। মুশফিকুর রহিমের সামনে চিটাগাং ভাইকিংসের আইকন ও এ প্লাস গ্রেডের খেলোয়াড় হওয়া ব্যতীত কোনো পথ খোলা ছিলো না।কিন্তু আসন্ন বিপিএল থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিতে চাওয়া চট্টগ্রামের সাথেও দরে বনিবনা হয়নি মুশফিকের। যে কারণ এখন পর্যন্ত শেষ খবর হলো যেহেতু কোনো দলের সঙ্গে বনিবনা হয়নি মুশফিকের তাই এখন তাকে প্লেয়ার্স ড্রাফটে উঠতে হবে।
তবে প্লেয়ার ড্রাফটে নাম ওঠানোর কারণে জানা গেছে, মুশফিককে পেতে মুখিয়ে আছে ঢাকা ডায়নামাইটস। গত কয়েকদিন ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ম্যানেজম্যান্ট মহলে একাধিক বৈঠক হয়েছে মুশফিকের ব্যাপারে। ভেতরের খবর প্লেয়ার্স ড্রাফটে মুশফিকের দিকেই চোখ ঢাকার। কারণ এক ও অভিন্ন- সাকিব আল হাসান যদি শুরুতে খেলতে না পারেন বা তার খেলায় সমস্যা তাহলে তার ব্যাকআপ হিসেবে সিনিয়র খেলোয়াড়ের ভূমিকায় থাকবেন মুশফিক।
কিন্তু সবার সব পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে ড্রাফট শুরু হওয়ার আগেই মুশফিকের সঙ্গে চুক্তি করে নিয়েছে চিটাগাং ভাইকিংস।
সূত্র: জাগো নিউজ