এবার আনু মালিকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন সঙ্গীতশিল্পী আলিশা চিনয়
অনলাইন ডেস্ক : সোনা মহাপাত্র, শ্বেতা পণ্ডিতসহ মোট ৪ জন নারীর পর এবার বলিউডের সঙ্গীত পরিচালক আনু মালিকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন সঙ্গীতশিল্পী আলিশা চিনয়। যদিও তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা বলেই দাবি করেছেন আনু মালিক। তবে সঙ্গীত শিল্পী আলিশা চিনয়ের কথায় আনু মালিকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আসা সব অভিযোগই সত্যি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে আলিশা বলেন, ‘আনু মালিকের বিরুদ্ধে যে কথা বলা হচ্ছে বা লিখিত যে স্কল অভিযোগ আনা হচ্ছে তার প্রতিটি শব্দ সত্যি। এবিষয়ে আমি আনু মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণী সকল নারীর পাশে দাঁড়াচ্ছি। আশা করি সেই সকল নারীরা যেন শান্তি খুঁজে পান। ”
তবে এর আগে, ১৯৯০ সালে আনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলিশা। আনু মালিকের সঙ্গীত পরিচালনায় তার গাওয়া বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গান ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ মুক্তির ঠিক পরপরেই আনু মালিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। তারপর দীর্ঘদিন আর আনু মালিকের বিরুদ্ধে কাজ করেননি আলিশা। পরবর্তীকালে অবশ্য ২০০৩ সাল ‘ইশক ভিসক’ ছবিতে এক সঙ্গে কাজ করেন। পরবর্তীকালে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এ আনু মালিকের সঙ্গে বিচারকের আসনেও ছিলেন আলিশা।
প্রসঙ্গত, আনু মালিকের বিরুদ্ধে একাধিক নারীর যৌন হেনস্থা অভিযোগে পর অনু মালিককে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর বিচারকের আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ‘সনি টিভি’র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় ”আনু মালিক ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারকের আসনে থাকছেন না। তবে রিয়েলিটি শোটি যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। আনু মালিকের বদলে অন্যকোনও সঙ্গীত তারকাকে সেখানে আনা হবে।” ইন্ডিয়ান আইডল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে শ্বেতা পণ্ডিত।
সোনা মহাপাত্র ও শ্বেতা পণ্ডিতের পাশাপাশি আনু মালিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন আরও এক নারী। তিনি তার ভয়বহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে জানান, তার সঙ্গে আনুর দেখা হয় ১৯৯০ সালে মুম্বাইয়ের মেহবুব স্টুডিওতে। সেখানেই আনু তাকে চেপে ধরেন। পরে ক্ষমা চেয়ে নেন। এখানেই শেষ নয়। আনু মালিকের সঙ্গে তার একটি হয়রানির ঘটনা ঘটে সুরকারের নিজের বাড়িতে।
সেই নারীর দাবি, ‘নিজের বাড়িতে তার পাশেই সোফাতে বসেছিলেন আনু। বুঝতে পারছিলাম ফাঁদে পড়েছি। কারণ সেই দিন আনুর বাড়ির কেউ ছিলেন না। উনি আমার স্কার্ট তুলে ধরেন। ওকে ঠেলে সরানোর চেষ্টা করছি এমন সময় দরজার বেল বেজে উঠল। সেই ঘটনার পর এনিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নিষেধ করেন আনু।
অন্য আর এক নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন আনু মালিকের বিরুদ্ধে। তিন জানিয়েছেন, একবার আনু তাকে সিফন শাড়ি পরে তার বাড়িতে আসতে বলেন। তার সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে উনি আমাকে জড়িয়ে ধরেন।