পরকীয়ায় আসক্ত শিক্ষক শিক্ষিকা, অতঃপর…
পরকীয়া প্রেমের কারণে এক শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বরখাস্ত হওয়ারা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বরেয়া মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আশরাফুল কবির ও শিক্ষকা আছিয়া খাতুন।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও ইন্টারনেটে ওই দুই শিক্ষকের আপত্তিকর ছবি প্রকাশ হওয়ার পর দুই বছরের জন্য তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে জানান স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সফিকুজ্জামান খোকন।
বৃহস্পতিবার তিনি নতুন সময়কে বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক আশরাফুল কবির ও শিক্ষিকা আছিয়া খাতুনকে দুই বছরের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া গ্রামের অভিভাবক আব্দুল কাদের, সাইদুল ইসলাম, মফিজুর রহমান, তমল কর্মকার, শিক্ষক হাসানুজ্জামান, বরেয়া গ্রামের সুশান্ত বর্মন,
আব্দুল আজিজসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক এক সন্তানের জনক আশরাফুল কবিরের সঙ্গে একই স্কুলের সমাজ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা দুই সন্তানের জননী আছিয়া খাতুনের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরকীয়া প্রেম চলে আসছিলো।
“শিক্ষিকা আছিয়া খাতুনের স্বামী তারালী আলাউদ্দীন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জামায়াত নেতা আরিফ বিল্লাহ একাধিক সহিংস মামলার পলাতক আসামি। এ সুযোগে শিক্ষক আশরাফুল কবিরের সঙ্গে আছিয়া পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
আছিয়ার সঙ্গে গোপনে বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে মেলামেশা করেন আশরাফুল। বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে আমরা আছিয়ার স্বামী ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাই”।
এদিকে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে আশরাফুল কবিরের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন আছিয়া। এতে আছিয়ার প্রতি ক্ষিপ্ত হন আশরাফুল। একপর্যায়ে লম্পট আশরাফুল কবির আছিয়ার সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার গোপন মোবাইলে ধারণকৃত ছবি ফেইসবুকের মাধ্যমে ইন্টারনেটে এবং বিভিন্ন মোবাইলের দোকানে ছড়িয়ে দেন।
তবে এলাকাবাসীর এ অভিযোগ অস্বীকার করে আছিয়ার স্বামী আরিফ বিল্লাহ বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা।