শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ায় প্রবাসী, বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে খুন!
চাঁদপুর প্রতিনিধি : নাসরিন আক্তার রিভার সঙ্গে গত মার্চে বিয়ে হয় হযরত আলীর। বিয়ের কিছু দিন পরেই তিনি দুবাই চলে যান। গত ৮ অক্টোবর তিনি দেশে আসেন। এরই মধ্যে নাসরিনের ছোট বোন আইরিন আক্তার রেখার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ান হযরত আলী। সেই পরকীয়া সম্পর্কের বাধা হয়ে দাঁড়ান নাসরিন। পরে সেই নাসরিনকেই খুন করে হযরত আলী ও আইরিন। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে উপজেলার পূর্ব হাটিল ইউনিয়নের পূর্ব হাটিলা গ্রামে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা পুলিশ কার্যালয়ে পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার জানায়, গত ৯ অক্টোবর নাসরিনের মা নিলুফা ইয়াছমিন ঢাকায় ছিলেন এবং বাবা আবদুর রহিম বিদেশে ছিলেন। ওই রাতে নাসরিনকে (২০) পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ করে স্থানীয় টঙ্গিরপাড় হাটিলা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যায়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী আইরিন ও তার ভগ্নিপতি হযরত আলী। একপর্যায়ে নাসরিনের বুকের পাঁজর ভেঙে যায়। ওই অবস্থায় নাসরিন চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। নাসরিনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হযরত আলী পালিয়ে যান। আর ছোট বোন আইরিন অজ্ঞান হওয়ার ভান ধরে পড়ে থাকে।
পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেন, পরে ওই বাড়ির লোকজন নাসরিন ও আইরিনকে প্রথমে হাজীগঞ্জ বিসমিল্লাহ হসপিটালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা সিটি প্যাথ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ অক্টোবর রাতে নাসরিনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নাসরিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুর রহিম গত ১৪ অক্টোবর হাজীগঞ্জ থানায় ৪৬০ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহম্মদ রহস্য উদঘাটনের জন্য গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় একই উপজেলার বাকিলা বাজার থেকে হযরত আলীকে আটক করেন। তার তথ্যনুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইরিনকেও পুলিশ আটক করে।
পরে পুলিশ হযরত আলী ও আইরিন আক্তারকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করলে হযরত ও আইরিনকে। তারা নিজেদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্কের কথা শিকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।