বাংলাদেশের উন্নয়নে আমিও অংশীদার হতে চাই : সৌদি যুবরাজ
সৌদি যুবরাজ, উপ-প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, তিনিও এ উন্নয়নের অংশীদার হতে চান।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সালমানের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সৌদি যুবরাজকে উদ্ধৃতি করে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিকালে বাংলাদেশের যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, সে সম্পর্কে আমি অবগত আছি এবং এই উন্নয়নের বিকাশে আমিও তার অংশীদার হতে চাই।
তিনি বলেন, সালমান তাঁর কর্মকর্তাদের বাংলাদেশকে দেখে আসা এবং বাংলাদেশে উন্নয়নের কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণে বিশেষজ্ঞ পাঠানোর কথা বলেছৈন। তিনি বলেন, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রয়োজন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, গত রাতে রিয়াদের রয়্যাল প্যালেসে অত্যন্ত উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। হক বলেন, প্রায় আধা ঘণ্টা স্থায়ী এই বৈঠকে তিনি (সালমান) খুবই উৎফুল্ল ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন যুবরাজকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, তখন তিনি (যুবরাজ) অত্যন্ত উষ্ণতার সঙ্গে এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং বলেন, আমি শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করব।
শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো ঝগড়া-বিবাদ করব না, বরং আমরা আমাদের যে কোনো সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব।
প্রধানমন্ত্রী যখন জানান, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি ৬ বার সৌদি আরব সফর করেছেন, তখন সৌদি যুবরাজ তাঁকে (শেখ হাসিনা) ‘হাফ সৌদি’ বলে বর্ণনা করেন।
‘এটিও আপনার বাড়ি’ একথা উল্লেখ করে সৌদি যুবরাজ বলেন, আপনি অনেক বার সৌদি আরব সফর করেছেন, তাই আপনি ‘হাফ সৌদি’ হয়ে গেছেন।
মুসলিম উম্মাহর মধ্যে শান্তি বজায় রাখা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করে যুবরাজ বলেন, আমরাও এটা চাই এবং আমরা সবাই একত্রে শান্তিতে বসবাস ও উন্নয়ন করতে চাই।
যুবরাজ বলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের চমৎকার সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরো তা বৃদ্ধি পাবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সালমানের বৈঠকে মূলতঃ দুটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়। এর একটি হচ্ছে- বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং অপরটি হচ্ছে- প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়।
হক বলেন, -আমরা আশা করছি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সৌদির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল খুব শিগগির বাংলাদেশ সফর করবেন এবং দেশটি বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করার জন্য খুবই উৎসাহী।
শেখ হাসিনা সৌদি বাদশাহ’র আমন্ত্রণে চারদিনের সরকারি সফরে গত মঙ্গলবার রিয়াদ পৌঁছেন।