অ্যান্টেবায়োটিক খাওয়া কী ঠিক প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করলে?
স্বাস্থ্য ডেস্ক।। আমি প্রধানত ইউরোলজিক্যাল ক্যানসারের চিকিৎসা প্রদান করি। দেখা যায়, রোগীদের অর্ধেকের বেশিই কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত।
কিডনি রোগ মানুষের জন্য নীরব ঘাতক। আর কিডনির নীরব ঘাতক হলো ডায়াবেটিস ও হাইপার টেনশন। এ দুটি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কিডনি রোগ বা হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া মানেই মূত্রনালিতে ইনফেকশন নয়। ইনফেকশন হলো সেই অবস্থা, যেখানে রোগীর জ্বরও থাকবে। জ্বর না থাকলে এ ক্ষেত্রে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না।
কিন্তু অনেক চিকিৎসক এ বিষয়ে সচেতন নন। প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। জ্বালাপোড়ার মূল কারণ নির্ণয় করতে হবে। এভাবেও কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
শিশুর কিডনিতে কোনো অসুখ আছে কি না, তার প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব। এজন্য শিশুর অভিভাবককে সচেতন হতে হবে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে দুই-তৃতীয়াংশ কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। সব রোগের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ প্রদান করা যাবে না।
পরামর্শদাতা : ডা. এম এ সালাম
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি : ইউরোলজি অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্টেশন ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।
কিডনি দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে এই বক্তব্য দেন ডা. হারুন অর রশিদ।