বুধবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০১৮ ইং ৩০শে কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকের প্রেমের ফাঁদে পড়ে দু’প্রেমিকা, তারপর…

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কোচিং শিক্ষক রাজিবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে বিপাকে পড়েছে দু’প্রেমিকা। রাজিব তার প্রতিষ্ঠিত এক্টিভ শিক্ষা পরিবার নামের একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন।

ওই কোচিং সেন্টারের ২ শিক্ষিকাকে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সম্প্রতি উপজেলার পৌজান গ্রামের আলতাফ হোসেনের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (২২) এর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্তাবস্থায় স্থানীয়রা হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর মধ্যস্থতায় ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে রাজিব ও মরিয়মের বিবাহ হয়। বিয়ের পরদিন রাজিব তার পুরনো প্রেমিকা গোপালপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ’র মেয়ে রিমু আক্তার (২২) কে নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমায়। সেখানে তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহ করে। ৫ দিন পর ২য় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বাড়ী ফিরে রাজিব। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চচল্যের সৃষ্টি হয় এবং উৎসুক জনতা প্রতিদিন বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকে। উপায়ন্তর না দেখে রাজিব বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

সরেজমিনে জানা যায়, রিমু আক্তার জানায় দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক। আমি দুই শিফটে কোচিং এ শিক্ষকতা করে বেতনের অর্ধেকাংশ আমি নিতাম এবং বাকিটা রাজিবকে সংসারের আসবাবপত্র বানানোর জন্য দিতাম। দীর্ঘদিন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও সে আমাকে বিয়ে করেনি কিন্তু যখন পারিবারিক ভাবে জোরপূর্বক মরিয়মের সাথে তার বিয়ে দেয় পরদিন সকালেই সে আমাকে ডেকে ঢাকায় নিয়ে বিয়ে করে। সে আরও জানায়, রাজিবের পরিবার কোনভাবেই আমাকে মেনে নিতে পারছে না। আমি রাজিবের এক প্রতিবেশির বাড়ীতে মানবেতর জীবন-যাপন করছি।

এ বিষয়ে মরিয়ম আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ কোচিং এ শিক্ষকতা করার সুবাদে রাজিবের সাথে প্রেমের সম্পর্কে এক পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। সে আমাকে বিবাহ না করার জন্য তালবাহানা করলে তখন আমি বিয়ের দাবিতে রাজিবের বাড়িতে গিয়ে উঠি। পরে সামাজিক ভাবে এলাকাবাসী ও রাজিবের পরিবারের লোকজন আমাদেরকে বিবাহ দেয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বেশ কয়েকবার মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। এক সপ্তাহের মধ্যে রাজিব ও তার প্রেমিকার দুই পরিবারকে সাথে নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করবে বলে তিনি জানান।