খাবার টেবিলে অতিথি পাখি, র্যাবের অভিযান
সিলেট প্রতিনিধি : শীতের প্রথমে সিলেটে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। এরই সঙ্গে তৎপর হয়েছে পাখি শিকারিরাও। ফলে বিভিন্ন কৌশলে শিকারির কবলে ধরা পড়া অতিথি ও বিরল প্রজাতির পাখি চলে আসছে নগরীর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে, মুখরোচক খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হচ্ছে খাবার টেবিলে।
আজ মঙ্গলবার সিলেটে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উঠে এসেছে এই চিত্র। নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট অভিযান চালিয়ে অতিথি পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১০১টি পাখি জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে র্যাব-৯ এর একটি দল জিন্দাবাজার এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে রান্না করা ৩৯টি পাখি এবং ফ্রিজ থেকে আটটি বালি হাঁস, ২৫টি পরিযায়ি পাখি, ২০টি বকসহ মোট ১০১টি পাখি জব্দ করা হয়।
র্যাব-৯ এর সিনিয়র এএসপি মাইনউদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সিলেটের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) হেলাল চৌধুরী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গির আলম । এ ছাড়া অভিযানে সিলেট বন বিভাগের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
তবে অভিযানের সময় পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট মালিকপক্ষের কাউকে পায়নি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় রেস্টুরেন্টের কর্মী আবদুল আওয়াল ও কাওছার আহমদকে আটক করে র্যাব।
এএসপি মাইনউদ্দিন বলেন, ‘পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টের মালিকসহ আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনে মামলা দায়ের করা হবে। আটককৃতদের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হবে।’
এ বিষয়ে পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম বলেন, ‘শীত মৌসুমে বাংলাদেশে অনেক অতিথি পাখি আসে। এক শ্রেণির অসাধু লোক এগুলোকে শিকার করে বিক্রি করে। অনেক রেস্টুরেন্টে পাখির মাংসও পরিবেশন করা হয়। এই অভিযানের ফলে আশা করছি, তারা সবাই সচেতন হবেন।’