মন্ত্রী স্বামীর সুপারিশে চাকরির অভিযোগ, স্ত্রীর ইস্তফা
অনলাইন ডেস্ক : স্বামী যখন মন্ত্রী, তার সুপারিশে স্ত্রীর চাকরি হতেই পারে। কিন্তু স্ত্রী যদি আত্মসম্মান কেন্দ্রীক হন তবে সে চাকরি করবেন কেন? এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের কেরালায়।
কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী সংস্থার পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী জি সুধাকরণের স্ত্রী জুবিলি নবপ্রভা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল সুধাকরণের সুপারিশে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি হয়েছিল নবপ্রভার।
এমনকি ওই পদে নিজের স্ত্রীকেই স্থায়ী করা চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। আর এতেই আত্মসম্মানকেন্দ্রীক জুবিলি নবপ্রভা চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নবপ্রভা তার চাকরির ইস্তফা দেন। এ সময় চাকরির চেয়ে তার স্বামীর সম্মান অনেক বড় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নবপ্রভা আরও বলেন, ‘ওই পদে আমাকে স্থায়ী করার কোনো চেষ্টা হচ্ছিল না। বেতন বাড়ানোর তো প্রশ্নই নেই। যা কিছু বলা হচ্ছে তা একেবারেই রটনা। এর পেছনে একটাই উদ্দেশ্য আমার ভাবমূর্তিতে কালি মাখানো। যখন থেকে ওই পদে যোগ দিয়েছি তখন থেকেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এর পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু লোক জড়িত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার চাকরির পেছনে আমার স্বামীর কোনো প্রভাবই কাজ করেনি। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছিলাম। সেখান থেকেই নিয়োগ পেয়েছি। ইন্টারভিউতে অনেকেই এসেছিলেন। যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি পেয়েছি।’
২০১৮ সালের ২১ মে নবপ্রভাকে এক বছরের চুক্তিতে ওই পদে নিয়োগ করে কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ ওঠে কেরালা বিশ্ববিদ্যালেয়ের সিন্ডিকেট একট পদ তৈরি করেছে সুধাকরণের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়া জন্য। এর প্রতিক্রিয়ায় নবপ্রভা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার স্বামীর ভাবমূর্তি আমার চাকরির থেকে অনেক বেশি দামি। এজন্যেই ইস্তফা করছি।’