আমি বিশ্বাস করি ট্রিপল সেঞ্চুরি করাও সম্ভব : মুশফিক
স্পোর্টস রিপোর্টার : একটা সময়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য টেস্ট ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি ছিল সোনার হরিণ। ডাবল সেঞ্চুরি না পাওয়ার সেই আক্ষেপ ঘোচান মুশফিকুর রহিম। তার দেখা দেখি ডাবল সেঞ্চুরি করেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।
সোমবার ঢাকা টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর মুশফিক বলেন, টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করাও সম্ভব।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের মুশফিক বলেন, ‘আমি নিজেও বিশ্বাস করি আমি সমর্থ। কারণ প্রথম যখন ২০০ করি তখন মনে হয়েছে এটাই প্রথম, আবার কবে মারবো? পারব কী না। তখন নিজের ওপরও ওভাবে বিশ্বাস ছিল না। কিন্তু আজ ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়ার পরে আমার মনে সেই বিশ্বাসটা একটু হলেও ফিরে এসেছে যে, আমি আরও বেশি করতে পারি এবং এটা অসম্ভব না।’
২০১৩ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে গল টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডাবল (২০০) সেঞ্চুরির ইতিহাস গড়েন মুশফিক। এর দুই বছর পর ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে ২০৬ রান করেন দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তার ঠিক দুই বছর পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে ২১৭ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এতদিন সাকিবের গড়া ২১৭ রানই ছিল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৪২১ বলে ১৮ চার ও এক ছক্কায় ২১৯ রান করার মধ্য দিয়ে সাকিবের সেই রেকর্ড ভেঙে দেন মুশফিক।
সেই দিক থেকে বললে, ঢাকা টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করার মধ্য দিয়ে সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে গেলেন মুশফিকুর রহিম।
শুধু তাই নয়, এদিন ডাবল সেঞ্চুরি করার মধ্য দিয়ে কুমার সাঙ্গাকারা, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের ছাড়িয়ে গেলেন মুশফিক। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বে প্রথম স্থানে চলে এসেছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। কিপার হিসেবে টেস্টে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে (২০০ ও ২১৯) দুটি।
বিশ্ব ক্রিকেটে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শ্রীলংকার সাবেক তারকা ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিরা একটি করে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন।