কেজির ইলিশ ১৬০০ টাকা!
নিউজ ডেস্ক : তেলে ভরা, রঙে রূপালি, একেবারেই টাটকা, চাঁদপুরের খাঁটি ইলিশ, বরিশালের ইলিশ- ইলিশের ‘ভরা মৌসুমে’ যেন এর বিশেষণের শেষ নেই। নতুন করে বিশেষণ যুক্ত হয়েছে আর মাত্র ৫ দিন। এভাবেই নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করে গলা চড়ছেন রাজধানীর কারওয়ান বাজার মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা। চিত্রটা মঙ্গলবার রাতের।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে বলতে গেলে শুধু ইলিশই বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ইলিশ ছাড়া যেন বাজার অন্ধকার। ওজনভেদে বিক্রি হচ্ছে নানা দামে। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ ৮০০ টাকা, ৬০০ গ্রামের মাছ ৫৫০ টাকা, এককেজি বা তার একটু বেশি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, অন্য সময় নির্দিষ্ট সময়ে বাজার শেষ হলেও এখন প্রায় ১৮ ঘণ্টায়ই বাজারে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। এ বাজারে সাধারণত মাঝারি থেকে বড় সাইজের ইলিশই বেশি বিক্রি হয়।
এ বছর মৌসুমের শুরুর দিকে তেমন ইলিশ ধরা পড়েনি। কিন্তু এখন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। চাঁদপুর, বরিশাল ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন মোকাম থেকে মূলত বাজারে প্রচুর ইলিশ আসছে। স্থানীয় নদনদীতেও জেলেরা ইলিশ পাচ্ছেন।
তবে আশঙ্কার কথা এখন বাজারে প্রচুর ইলিশ আসলেও দাম তুলনামূলক কমেনি।
কেন দাম কমছে না- জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আমানুল্লাহ বলেন, বড় ইলিশগুলো আমাদেরকেই মোকাম থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই আমরাও দাম কমাতে পারছি না।
সরকারি হিসাবে, বর্তমান সরকারের ৯ বছরে ইলিশের উৎপাদন ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিলো ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন, যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা।
ইলিশের উৎপাদন উত্তরোত্তর বাড়াতে সরকার এ বছরও আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে।
আমানুল্লাহ বলেন, এখন আগের তুলনায় ইলিশের চাহিদা অনেক বেশি। সরকার ৭ তারিখ থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই আগামী কয়েকদিন ইলিশের দাম আরও বাড়তে পারে।
কারওয়ান বাজারে ইলিশ কিনতে আসা প্রশান্ত আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ভাবলাম শেষ সময়ে এসে ইলিশের দাম কমে যাবে। সে কারণে বাজারে আসা। কিন্তু এসে দেখি, দাম অনেক বেশি। তবু বাসার জন্য দুইটা কিনলাম। দাম কম থাকলে আরও কিছু কিনে রাখবো। আরটিভি অনলাইন