সাব্বির টেনে হেঁচড়ে সুখীকে ছাদে নিয়ে যায়, এরপর…
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় বখাটের উৎপাতে সুখী আক্তার (১৪) নামে এক মেধাবী স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুলছাত্রী সুখীর আত্মহত্যার পরে বখাটে সাব্বির আহম্মেদ গা-ঢাকা দিয়েছে।
এ ঘটনায় গত দু’দিন ধরে আমুয়া উচ্চ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার আমুয়া পূর্বপাড় সরদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রীর বাবা আব্দুল হাই সরদার জানান, সুখী আমুয়া বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করত। মেয়ে আমার খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিল, ৫ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। আসন্ন জেএসসি পরীক্ষায়ও সুখী ভালো রেজাল্ট করত। কিন্তু, আমুয়া হাসপাতালের স্টাফ নার্স মোছা: খাদিজা বেগমের বখাটে ছেলে ও আমুয়া বন্দর আমির মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির আহম্মেদ আমার মেয়ে সুখীর স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেম নিবেদনসহ প্রায়ই তার হাত ধরে টানাটানি করত সে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়টি আমি সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের চোখে পড়লে প্রথমে উত্যক্তকারী সাব্বিরের মা খাদিজাকে, পরে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানানো হলেও সাব্বির থেমে থাকেনি। সর্বশেষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর সুখী জেএসসি পরীক্ষার কোচিং করতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সাব্বির সুখীকে টেনে হেঁচড়ে হাসপাতাল কোয়ার্টারের ছাদে নিয়ে যায়।
এই খবর শোনা মাত্র সুখীর বড় ভাই রাকিব ও ভগ্নিপতি মো: নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সুখীকে বাসায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ওইদিনই বখাটে সাব্বিরের মা খাদিজা ও তার বড় ভাই রাব্বি ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে উল্টো শাসিয়ে আসেন এবং বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি অন্য রকম করে উল্টো-পাল্টা ভাবে জানাজানি করেন।
এ ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর লোক লজ্জা ও ঘৃণায় সুখী নামের ওই স্কুলছাত্রী তার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে কাঠালিয়া থানা ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি এবং একটি অপমৃত্যুর মামলা নথি ভুক্ত করা হয়েছে।