তানজানিয়ায় ফেরি ডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তানজানিয়ার ভিক্টোরিয়া হ্রদে যাত্রীবাহী ফেরি ডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৯ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জন ম্যাগুফুলি জানিয়েছেন, ফেরির কাপ্তানকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার ফেরি চলাচলে নিয়োজিত কর্মচারিদেরও গ্রেপ্তারের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ম্যাগুফুলি আরও বলেন, ঘটনার সময় কাপ্তান অপর এক অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তির হাতে ফেরির স্টিয়ারিং ছেড়ে চলে যান। ফেরিটির যাত্রীধারণের ক্ষমতা ছিল সর্বোচ্চ ১০০ জন। কিন্তু এতে ৪০০ এর বেশি যাত্রী ছিল। এ কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভিক্টোরিয়া হ্রদের দক্ষিণে এমভি নিয়েরেরে নামে ওই ফেরিটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ইউকেরেবে দ্বীপের কাছে সেদিন বিকেলে আফ্রিকার বৃহত্তম হ্রদে ফেরিটি ডুবে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা ফেরি ডুবির জন্য অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, যাত্রীবাহী ফেরিতে পণ্য পরিবহন ও খারাপ আবহাওয়াকে দায়ী করেছেন।
কারণ হিসেবে তাঞ্জানিয়া রেডক্রসের মুখপাত্র গডফ্রিডা জোলা বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার হাটের দিন ছিল। তাই ধারণক্ষমতার অনেক বেশি লোক ফেরিতে উঠেছিল। কিনারা থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে ফেরিটি ডুবে যায়। যাত্রীদের অনেকেই সাঁতার জানতো না।’
তাঞ্জানিয়ায় ভিক্টোরিয়া হ্রদে ১৯৯৬ সালে এক ভয়াবহ ফেরি দুর্ঘটনায় পাঁচ শতাধিক লোক নিহত হয়েছিল। এ ছাড়া ২০১২ সালেও দেশটির জাঞ্জিবার দ্বীপপুঞ্জে ফেরি দুর্ঘটনায় ১৪৫ জন মারা যায়।