ঐক্যের সমাবেশে জিয়ার নাম উচ্চারণ করেননি বিএনপি নেতারা
দিন ভালো যাচ্ছে না। দুর্দিনের এক দশক পার করছে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। দুর্নীতির অভিযোগে দলের প্রধান কারাগারে। দ্বিতীয় প্রধান প্রায় নির্বাসন জীবন যাপন করছেন লন্ডনে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭০ হাজার মামলা। গ্রেফতার, হামলা, মামলায় জর্জরিত কয়েকবার ক্ষমতায় থাকা এ দলটি।
সামনের নির্বাচন নিয়ে যে ফের দিশেহারা বিএনপি তারই প্রমাণ মিলল আজ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে। নইলে কী আর ড. কামাল হোসেনের এত প্রশংসা! যদিও বিএনপির নেতারা কেউই দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম উচ্চারণ করেননি তাদের বক্তব্যে। তবে প্রশংসা করেন বিএনপি থেকে বেরিয়ে আসা ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে বিএনপি নেতারা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ওই সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীসহ শীর্ষ চার নেতা অংশ নেন।
সমাবেশে বিএনপি নেতাদের মধ্যে প্রথমে বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি শুরুতেই ড. কামালকে রাজনীতির অন্যতম প্রাণপুরুষ বলে আখ্যা দেন। তার হাতেই জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে প্রস্তুত বলে মত দেন।
সংবিধান প্রণেতা ড. কামালের ওপর রাজনীতির অনেক কিছুই নির্ভর করছে বলে উল্লেখ করেন মওদুদ আহমদ।
একইভাবে কামাল হোসেনের নানা প্রশংসা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্য দুই সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ড. আব্দুল মঈন খান।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ড. কামাল হোসেন সংবিধান প্রণেতা। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম পুরোধা। শেখ হাসিনার সরকারের অপশাসনে দেশ যখন অন্ধকারে তখন তিনি (ড. কামাল) মুক্তির পথ দেখাতে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। আমরা তার ডাকে ঐক্যবদ্ধ হতে চাই।
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান নূর হোসেন কাশেমী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ প্রমুখ।