প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে খলিল, সারারাত বন্দি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজলোয় প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ইব্রাহিম খলিল নামে এক মসজিদের মুয়াজ্জিনকে ধরেছে স্থানীয়রা।
রোববার উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের জিনিদকরা গ্রামের প্রবাসী ইয়াছিনের ঘর থেকে পালানোর সময় তাকে আটক করে প্রতিবেশী নারীরা।
আটককৃত খলিল কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের শরপাতলী গ্রামের আমীর হোসেনের ছেলে। বর্তমানে সে চিওড়ার চরপাড়ার একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে রয়েছে।
জানা গেছে, ইব্রাহিম খলিল নিজেকে চিওড়া আছগরিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বলে দাবি করে পোস্টার, ব্যানার ও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
স্থানীয়রা জানায়, ইব্রাহিম খলিল ইতোপূর্বে একই ইউনিয়নের ছোট সাতবাড়িয়া গ্রামের মসজিদে কর্মরত অবস্থায় বেশ কয়েকটি অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। অপকর্মের কারণে ওই মসজিদ থেকে তার চাকরি চলে যায়।
এখানে চাকরিরত অবস্থায় প্রবাসী ইয়াছিনের স্ত্রী আকলিমার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠে খলিলের। সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য ইব্রাহিম কৌশলে আকলিমার দুই ছেলেকে প্রাইভেট পড়ানোর নামে তাদের ঘরে নিয়মিত প্রবেশের পথ বের করে। এতে তাদের মধ্যে সখ্যতা বেড়ে তা শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে ইব্রাহিম খলিল আকলিমার ঘরে প্রবেশ করে। বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশের নারীরা গৃহবধূ আকলিমা ও ইব্রাহিমকে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দেয়। সারারাত সেই ঘরেই ছিল ইব্রাহিম।
সকালে খলিল ঘরের দরজা ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করলে নারীরা তাকে ধরে বেঁধে রাখে। পরে ছেলের আটকের খবর পেয়ে তার গ্রামের বাড়ি ঢালুয়া ইউনিয়নের শরপাতলী থেকে বাবা-মাসহ গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় জিনিদকরার স্থানীয় লোকজন বাবা-মায়ের জিম্মায় ও মুচলেকা নিয়ে ইব্রামিম খলিলকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে চিওড়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম ভূঁইয়া বলেন, পূর্ব-শত্রুতার জের ধরে ইব্রাহিম খলিলকে অপমান করার উদ্দেশ্যে জিনিদকরায় আটক করেছে একটি পক্ষ। পরে তাকে আবার ছেড়ে দেয়া হয়েছে।