শুক্রবার, ৫ই অক্টোবর, ২০১৮ ইং ২০শে আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

যাদের দোয়া কখনো বিফলে যায় না

ইসলাম ডেস্ক: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‌হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল। আল্লাহ তোমাদের আমলকে সংশোধন করে দেবেন এবং তোমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করে সে বড় সফলতা লাভ করেছে।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৭০-৭১)

আয়াতের মর্মার্থ অনুযায়ী সফল ও ঈমানদার সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে ভয় করার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক কথা বলে এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করে। আর এ সব আনুগত্যকারী আল্লাহ তাআলা সফলতা দান করেন, তাদের আমলকে সংশোধন করে সৎ পথে পরিচালিত করেন। তাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।

মূলত এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহর সাহায্য লাভে তাঁরই কাছে দোয়া এবং তাঁরই জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল ও বিধি-বিধান মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিশেষ করে আল্লাহ তাআলা ৩ ব্যক্তির দোয়া প্রত্যাখ্যান করবেন না; এমন ঘোষণা দিয়েছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে,

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘৩ প্রকারের লোকের দোয়া কখনো প্রত্যাখ্যান করা হয় না,

রোজাদার যখন ইফতার করে;
ন্যায়পরয়ন শাসকের দোয়া এবং
মজলুমের (নির্যাতিত ব্যক্তির) দোয়া।

আল্লাহ তাআলা তার (এ সব ব্যক্তির) দোয়া মেঘমালার (আসমানের) ওপর তুলে নেন এবং এর জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়।

(এ সব ব্যক্তির দোয়অর ফলে) রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘আমার মর্যাদার শপথ! আমি অবশ্যই তোমার সাহায্য করব কিছু বিলম্ব হলেও।’ (তিরমিজি)

উল্লেখিত হাদিসে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহকে স্মরণ করার এবং তাঁর কাছে কোনো কিছু চাওয়ার যে ঘোষণা করা হয়েছে; সে ঘোষণার যে মর্যাদা দেয়া হবে এবং যেভাবে দোয়া কবুল করা হবে তার বর্ণনা এসেছে।

এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাপ্তাহিক (সোমবার এবং বৃহস্পতিবার) এবং মাসিক (আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা পালন করতেন। ন্যায়পরায়ন শাসকের জন্য আরশের নিচে ছায়া লাভের ঘোষণা করেছেন। আবার কারো প্রতি অত্যাচার করতে নিষেধ করেছেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সফলতা লাভে সাপ্তাহিক ও মাসিক রোজা নফল রোজা পালনের মাধ্যমে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। নিজ নিজ পরিবার ও অধিনস্থদের মধ্যে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের তাওফিক দান করুন। অন্যের প্রতি অন্যায় বা জুলুম থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন। সূত্র: জাগো নিউজ