শুক্রবার, ৫ই অক্টোবর, ২০১৮ ইং ২০শে আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

ধর্ষন প্রতিরোধ্য এই ১০ টি ডিভাইস যেকোন পুরুষকে পুরুষত্ব হীন করে দিতে পারে (ভিডিও)

ধর্ষন প্রতিরোধ্য এই ১০ টি ডিভাইস যেকোন পুরুষকে পুরুষত্ব হীন করে দিতে পারে (ভিডিও)

অন্যরা যা পড়ছে,,,,,,ঋতুস্রাবের সময়ে কেন গোয়ালঘরে ঘুমান নারীরা?
প্রতিমাসেই ঋতুস্রাবের সময়ে তার ঘরের ভেতরে যাওয়া নিষেধ। স্বামী, সন্তানদের থেকে থাকতে হয় আলাদা, গোয়ালঘরে দিন-রাত কাটাতে হয় বিমলা দেবীকে। ভারতের হিমাচল প্রদেশে কুলু এলাকার গ্রামের এক সন্তানের মা তিনি।
কুলু এরকম একটা জায়গা, যেখানে দেশ বিদেশের পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। সবুজ গাছ আর রঙিন ফুলে ভরা মনোরম উপত্যকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে দলে দলে মানুষ যেখানে যান, সেই অঞ্চলেই এরকম একটা নিদারুণ প্রথা চালু রয়েছে এই ২০১৮ সালেও!কুলুর পাহাড়ি এলাকার গ্রামগুলিতে বহু নারীকেই এখনও মাসিক ঋতুস্রাবের সময়ে গোয়ালঘরে ঘুমাতে হয়। গোবরের গন্ধভরা পরিবেশে থাকতে চান না তারা, কিন্তু তাদের এই প্রথা না মেনে চলারও উপায় নেই। বিমলা দেবী বলেন, নারীদের নোংরা, অপবিত্র মনে করা হয় ওই সময়টায়। তাই একা একা থাকতে হয়।

ওই অঞ্চলের মানুষ বিশ্বাস করেন তাহলে ঘর অপবিত্র হয়ে যাবে অথবা দেবতা রাগ করবেন। এই বিশ্বাস যে শুধু অশিক্ষিত বা অর্ধ-শিক্ষিত মানুষের মধ্যে রয়েছে তা নয়।কয়েকমাস আগে ওই অঞ্চলে বিয়ে হয়েছে প্রীতা দেবীর। তিনি বি এ পাস করেছেন। প্রথমে অসুবিধা হলেও প্রাচীন রীতি না মেনে তার উপায় ছিল না।প্রীতা দেবী বলেন, প্রথমে তো রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেই পারতাম না। ভয় করতো। কিন্তু প্রথা তো মেনে চলতেই হবে। না হয় দেবতা রাগ করবেন।

কিন্তু হিমাচল প্রদেশ মহিলা কল্যাণ সংস্থার প্রধান মধুর বীণা মনে করেন, এই প্রাচীন প্রথা বদলানোর প্রয়োজন। যদিও পরিবর্তন করতে চাইলেও একবারেই সেটা করা কঠিন। এটা পুরুষ প্রধান সমাজ। সময় লাগবে পরিবর্তন আনতে। সচেতনতা তৈরি হলে মেয়েরা নিজেরাই এ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করবে।সেই কাজ শুরু করেছে সরকার। ঋতুস্রাবের সময়ে গোয়ালঘরে যাতে নারীদের না ঘুমাতে হয়, তার জন্য ওই এলাকায় নারী গরিমা নামের একটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমেই সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছে সরকার।সূত্রঃ বিবিসি বাংলা