কেন যে পুলিশ হলাম, হায়!
বিষয়টা হলো কি, ছোট বাচ্চাগুলো এক মোড়ে ৫০০ জন বা তারও অনেক বেশি ছিল!এক ছিল, ছাত্রদের এই একতার জন্য সবাই ভয় পেয়ে লাইনে আসতে বাধ্য হয়েছে! কোথাও কোথাও ভাঙচুড় হচ্ছে এই ভয়ে অনেক গাড়ি বের হয়নি, হলেও নিয়ম মেনে থেকেছে!!.
সেই একই মোড়ে সার্জেন্ট থাকে ১ থেকে ২ জন! রেশিওটা বোঝা যাওয়ার কথা। পুলিশের আসলে লজ্জ্বা পেতে নাই, পুলিশ নিজেই একটা লজ্জ্বা! তাই সকলে নিজের অবস্থান থেকে পুলিশকে ব্যাখ্যা দেন। যিনি বেনিফিশিয়ারি দিনশেষে তিনিও পুলিশকে গালি দেন।
দেখেননা বিআরটিএ-তে লাইসেন্স বানানোর হিড়িক পড়ে গেছে। এটিও নাকি পুলিশ কনফার্ম করেছে, বড়ই অদ্ভূত আমাদের জীবন, নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে করতে জান শেষ! এখন আবার বিআরটিএ’র অবস্থাও পুলিশ ব্যাখ্যা দিচ্ছে।
যে দেশে একজনকে হেলমেট ছাড়া ধরলে আরেকজন বলে, ওমুককে ধরেন না কেন? তখন পুলিশ সার্জেন্টের উসাইন বোল্ট হওয়া ছাড়া আর কোনো গতি নাই।
দরকার যেটি, পুলিশ পাবলিক অনুপাত সমন্বয় করা। পুরো দেশকে সিসিটিভ ’র আওতায় আনা যাতে নিয়ম ভাঙলে স্বয়ংক্রিয় মামলা হয়ে যায় বিদেশের মতো, পরিবহন ব্যবস্থার জঞ্জাল দূর করা কিন্তু সেটি করা যে কতটা দূরুহ, সেটি ঘরে বসে বুঝবার উপায় আসলে কম!
ছেলেগুলো এই মাত্রই লজ্জ্বা দিল, এখন ওরা নিজেরাই মানছেনা ট্রাফিক আইন, সুন্দর নাহ! সবাই ঠিক সেই আগের মতোই। কেউ একটু চোর চোর মুখ করে তাকায়, মোটরবাইকের পেছনে হেলমেট ছাড়া বসেছি, পুলিশ আসছেনা তো আবার!!
নৈতিক ও আইনের দিক দিয়ে এত বড় অসচেতন একটা গোষ্ঠীর মনের তথা বাহিরের জঞ্জাল আদৌ কেউ পরিষ্কার করতে পারবে কিনা, আমার ডাউট আছে।
দিনশেষে গালি জমা হয় শুধু পুলিশের ঝোলায়! পুলিশ ছাড়া বাকি সবাই সাধু আমাদের সমাজে…সমস্যা হলো চারিপাশে এত এত ফেরেশতার সমারোহ কিন্তু সমাজে তাদের দেখা পাইনা বললেই চলে…
কেন যে পুলিশ হলাম, হায়!
আমি আমার জায়গাটুকু পরিস্কার করলাম!
ইফতেখায়রুল ইসলাম : সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডেমরা জোন)
[লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংকলিত]
সূত্র: কালের কন্ঠ