৩৫ বলে বিস্ফোরক সেঞ্চুরি গাপটিলের
স্পোর্টস ডেস্ক : উইকেটে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারি। এরপর রীতিমতো টর্নেডো বয়ে গেল মার্টিন গাপটিলের ব্যাটে। করলেন বিস্ফোরক এক সেঞ্চুরি।
ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি কাপে শুক্রবার উস্টারশায়ারের হয়ে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে গাপটিল সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র ৩৫ বলে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা যৌথভাবে চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের মাটিতে দ্বিতীয় দ্রুততম।
নর্দাম্পটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডে ৪০ বলে ১২ চার ও ৭ ছক্কায় ১০২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন গাপটিল। তার সেঞ্চুরি ও জো ক্লার্কের ৩৩ বলে অপরাজিত ৬১ রানের সুবাদে উস্টারশায়ার ১৮৮ রানের লক্ষ্যটা পেরিয়ে গেছে ১৩.১ ওভারেই, ম্যাচ জিতেছে ৯ উইকেটে।
প্রথম আট বলে গাপটিলের রান ছিল ৬, বাউন্ডারি ছিল না একটিও। নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান চতুর্থ ওভারে রিচার্ড গ্লিসনের এক ওভারেই হাঁকান চারটি চার ও একটি ছক্কা!
ষষ্ঠ ওভারে ররি ক্লেইনভেল্টের পরপর চার বলে দুটি করে চার ও ছক্কা হাঁকানোর পথে গাপটিল ফিফটি পূর্ণ করেন ২০ বলে। পরের পঞ্চাশ করতে লেগেছে মাত্র ১৫ বল! ব্যক্তিগত ৯০ থেকে কাইল কোয়েতজারকে টানা চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ছুঁয়ে গেলেন তিন অঙ্ক। পরের ওভারে আউট হয়ে যান গ্লিসনের বলে।
২০০৪ সালে কেন্টের হয়ে মিডলসেক্সের বিপক্ষে ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন অ্যান্ড্রু সায়মন্ডস। ইংল্যান্ডের মাটিতে সেটিই দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। এরপরই আছে গাপটিলের ৩৫ বলে সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা ক্রিস গেইলের। ২০১৩ আইপিএলে রয়্যাল চালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে গেইল সেঞ্চুরি করেছিলেন মাত্র ৩০ বলে। এ বছরের শুরুতে ভারতের সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে দিল্লির হয়ে হিমাচল প্রদেশের বিপক্ষে ৩২ বলে সেঞ্চুরি করেন ঋষভ পন্ত।
গাপটিলের মতো ৩৫ বলে সেঞ্চুরি আছে আরো তিনজনের- ২০১১ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে নামিবিয়ার লুইস ভান দের ওয়েস্টহুইজেন, এ বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের রোহিত শর্মা। এর মধ্যে শেষ দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে।