ছাত্রকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিলেন শিক্ষিকা
শিশুমনের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকেন একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা। দেশ গড়ার কারিগর বলা হয় তাদের। কিন্তু সেই শিক্ষিকাই অমানবিকতার নজির তৈরি করলেন। গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিলেন ৫ বছরের ছাত্রের শরীরে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া জেলার বেলুড়ে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। বেলুড়ের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে ওই ছাত্র। প্রতিদিনই স্কুল থেকে ফিরে গৃহশিক্ষিকার কাছে পড়তে যেত সে। অন্যান্য দিনের মত বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) ও স্কুল থেকে ফিরে বেলুড়ের গিরিশ ঘোষ রোডে গৃহশিক্ষিকার কাছে পড়তে যায় ৫ বছর বয়সের ওই ছাত্র।
নিগৃহীত ওই শিশু জানিয়েছে, তাকে পড়া ধরে গৃহশিক্ষিকা। কিন্তু সে সেই পড়া দিতে পারেনি। অভিযোগ, তারপরই তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। পুড়ে যায় শরীরের বিভিন্ন জায়গা। ঊর্ধ্ববাহু, দুই হাতের পাতা, তালু, আঙুল, থাই, হাঁটু, পায়ের পাতা প্রভৃতি বিভিন্ন জায়গায় চামড়া পুড়ে গিয়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়।
এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নিগৃহীত ছাত্রের পরিবার। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে। অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষিকার কড়া শাস্তির দাবি করেছে ওই ছাত্রের পরিবার।
মনস্তত্ত্ববিদদের মতে, অবসাদের জেরেই এধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ মানসিকতা গড়ে ওঠে শিক্ষকদের মধ্যে। যার প্রভাব পড়ছে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর। এই ঘটনা এড়ানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যথোপযুক্ত কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তারা।