‘গাছমানবীর’ সঙ্গে যৌন সংসর্গ, প্রতিবাদে হামলা!
ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠা এক ‘গাছমানবীর’ সঙ্গে যৌন সংসর্গ করতে উঠে পড়েছে একদল মাতাল। রাত বিরাতে আবার তাকে দেখতে চলে আসেন শহরের নারীরাও। ওই মানবীর সঙ্গে শারীরিক মিলনে বাঁধা দিলে হামলার শিকারও হতে হয় বাড়ির মালিকের।
এ যেন কোনো গল্পের কয়েকটি লাইন। পড়ে সত্য মনে না হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ডে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শেফিল্ডের বাসিন্দা ভাস্কর শিল্পী কিথ টাইসেন তার বাগানে অনেকগুলো ছোট গাছের মাধ্যমে গ্রিক দেবতার আকৃতি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এটি একটি আধশোয়া নারীমূর্তির বেশ ধারণ করে। আর এটা নিয়ে বাধে যত বিপত্তি।
রাত বিরাতে মাতালরা ওই নারী মূর্তির সঙ্গে যৌন সংসর্গ করতে উঠে পড়ে লাগে। কখনও কখনও নারীরাও তার শরীরে চেপে বসে, বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়। কিথ টাইসেন এ ব্যাপারে বাঁধা দিলে তার বাড়িতে হামলা করে মাতাল ব্যক্তিরা।গত ৪০ বছর ধরে গাছ দিয়ে নানা ধরনের ভাস্কর্য গড়ছেন কিথ টাইসেন। ২০০০ সালে তিনি তার বাগানে যে গাছমূর্তিটি তৈরি করেন সেটিও বেশ প্রশংসা পায়। গ্রিক দেবতার আদলে গড়তে চাওয়া ভাস্কর্যটি নারী মূর্তির আকার ধারণ করলে তিনি সেটিকে ‘প্রাইভেট লেডি’ নাম দেন।
সম্প্রতি টাইসেন টের পান, তার প্রাইভেট লেডি ভাস্কর্যটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মিররকে টাইসেন জানিয়েছেন, প্রায় প্রতি রাতেই বিভিন্ন সময় মাতাল নারী-পুরুষ তার গাছটিকে আক্রমণ করে। একদিন ভোর সাড়ে চারটার দিকে হুড়োহুড়ির শব্দ পেয়ে বাগানে গিয়ে দেখেন এক নগ্ন যুবক ওই মূর্তির সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করতে চাইছেন।এরপর থেকে তিনি প্রায়ই লক্ষ্য করতে থাকেন, মাতালরা তার গাছটিকে ‘ধর্ষণ’ করতে চায়। এমনকি নারীরাও মাতাল হয়ে গাছটির বিভিন্ন স্থানে হাত দেন। এ সময় তারা অনেক কামুক থাকেন। তিনি বাঁধা দিতে গেলে তাকে ও তার বাড়িতে হামলা করে মাতাল নারী-পুরুষরা।এ ব্যাপারে শেফিল্ড পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান টাইসেন। পুলিশ ব্যবস্থা নিলেও থামানো যাচ্ছে না শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা ও হামলা।