মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নারী আইনজীবীকে হত্যার পর ৮ টুকরো: ঘাতক সাজু গ্রেফতার
মালয়েশিয়ায় সাজেদা-ই-বুলবুল (২৯) নামে এক আইনজীবীকে হত্যার পর আট টুকরো করার ঘটনায় অবশেষে ঘাতক স্বামী শাহজাদা সাজুকে (৩৭) গ্রেফতার করা হয়েছে।
টানা ২০ দিনের মাথায় দেশটির সীমান্তবর্তী প্রদেশ জহুর বারু থেকে বুধবার ভোরে ঘাতক শাহজাদা সাজুকে গ্রেফতার করে দেশটির (সিআইডি) পুলিশ।
সাজেদা-ই-বুলবুল পটুয়াখালী সদরের পুরাতন আদালতপাড়ায় মো. আনিস হাওলাদারের মেয়ে। তিনি প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি এবং এল এম পাশ করেন। বিয়ের পর ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর স্বামীর সঙ্গে মালেয়েশিয়া যান তিনি।
সেখানে যাওয়ার পর স্বামীর অন্য চেহারা দেখতে পান। শাহজাদা নিজে প্রতিষ্ঠিত হলেও স্ত্রীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ তৈরি করে দেননি। নিয়মিত করতেন নির্যাতন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ জুলাই সাজেদাকে নৃশংশ কায়দায় হত্যা করে পাষণ্ড স্বামী শাহজাদা। অপরাধ গোপন করতে স্ত্রীর লাশ টুকরো টুকরো করে কেটে লাগেজে ভরে সুংগাই কালাং (জালান ইপুহ) এলাকায় এক ডোবায় ফেলে গা ঢাকা দেন।
দুই লাগেজে ভর্তি সাজেদার আট টুকরা মৃতদেহ প্রথমে দেখতে পান একজন ভবঘুরে ব্যক্তি। তিনি পুলিশে খবর দিলে এই নৃশংস ঘটনাটি সামনে আসে।
নৃশংস এ খুনের ঘটনা নিয়ে গোটা কুয়ালালামপুরে বাঙ্গালী কমিউনিটির মধ্যে চলছিল আলোচনা। আবার কেউ কেউ আতংকের মধ্যেও ছিলেন। সাজেদা-ই-বুলবুল নামের ওই আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় ২০ জুলাই দেশটির পুলিশ প্রধান সন্দেহভাজন স্বামী শাহজাদা সাজুকে খুঁজে বের করতে সাজুর ছবি প্রকাশ করেছিলেন। ছবি প্রকাশের ৫ দিনের মাথায় অভিযুক্ত গ্রেফতার হলো।