২০০০ বছরের পুরনো বাক্স খুলে হতভম্ব সবাই!
২০০০ বছরের পুরনো একটি কালো রঙের শবাধার, যা নিয়ে প্রত্নতত্ত্ববিদদের আগ্রহের শেষ নেই। কী আছে এই শবাধারের মধ্যে? শেষ পর্যন্ত খোলা হলো সেটি। পুরনো বাক্সটি খুলেই হতভম্ব হয়ে গেলেন সবাই।বাক্সের ভেতরে রয়েছে তিনটি কঙ্কাল ও রহস্যময় এক তরল পদার্থ! সরকারের প্রত্ন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই কঙ্কালগুলো সৈন্যস্তরের ব্যক্তিদের। কিন্তু ওই তরল পদার্থ কী, তা নিয়ে এখনো কোনো সুরাহায় আসতে পারেননি গবেষকরা।
চলতি মাসের প্রথম দিকে মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া প্রদেশের সিদি গাবের অঞ্চলে এক প্রত্নতাত্ত্বিক খননে ওই বাক্সটি পাওয়া যায়। আকার ও আকৃতি দেখে এটিকে মমি রাখার আধার বা ‘সারকোফ্যাগাস’ বলেই মনে হয়েছিল বিশেষজ্ঞদের।
বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘লাইভসায়েন্স’এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলেকজান্দ্রিয়া থেকে এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত সারকোফ্যাগসগুলোর মধ্যে এটিই বৃহত্তম। ৯ ফুট দীর্ঘ, ৫ ফুট চওড়া এবং ৬ ফুট উঁটু এই শবাধারটি বালি, পানি, চুন ইত্যাদি দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিলে, এটিতে বিশ্বজয়ী গ্রিক সম্রাট আলেকজান্ডারের কিছু থাকতে পারে। সম্রাট আলেকজান্ডারের মৃতদেহ কোথায়, কী অবস্থায় বিদ্যমান, তা কারোরই জানা নেই। এটি বিশ্বের অন্যতম রহস্য বলে বিবেচিত।
গ্রিক সম্রাট আলেকজান্ডারের মৃত্যু হয় ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। তার পরে মিসরে যে রাজবংশটি রাজত্ব করে তার মধ্যে গ্রিক রক্ত বিদ্যমান ছিল।এই বংশের শেষ সাম্রাজ্ঞী সপ্তম ক্লিওপেট্রা ৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আত্মহত্যা করেন। মিসরে রোমান সাম্রাজ্যবাদী শাসন কায়েম হয়।ওই সময় আলেকজান্দ্রিয়া অঞ্চলে নিরন্তর যুদ্ধ-বিগ্রহ চলেছিল। শবাধারে প্রাপ্ত কঙ্কালগুলো সেই যুদ্ধেই নিহত তিন ব্যক্তির বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের দেহাবশেষে তীরের আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।