তনুশ্রী-নানা পাটেকর বিতর্ক নিয়ে মানেকা গান্ধীর হুঁশিয়ারি
অনলাইন ডেস্ক: তনুশ্রী দত্ত-নানা পাটেকর বিতর্কে নিয়ে মুখ খুলে হুঁশিয়ারি করলেন ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী মানেকা গান্ধী। মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যম এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “যে কোনও রকমের হেনস্থা সহ্য করা হবে না।“ তিনি আরও বলেন, “আমাদের সরকারই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সি-বক্স’ (she box) তৈরি করেছিল। যে কোনো নারী যদি সেখানে আমাদের জানাতেন, যে তাঁকে কোনোভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তা হলে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।“
তনুশ্রী দত্ত একটা ১০ বছরের পুরনো বিতর্ককে সামনে এনেছেন। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, ২০০৮ সলে হর্ন ওকে প্লিজ ছবির সেটে তিনি নানা পাটেকরের দ্বারা হেনস্থার শিকার হন। অভিযোগ, শ্যুটিং চলাকালীন নানা তাঁর সঙ্গে রূঢ় ও খারাপ ব্যবহার করেন। তার পরে সিনেমাটি থেকে বেরিয়ে যান। তনুশ্রীর আরও অভিযোগ, নানা পাটেকর তাঁকে ভয় দেখানোর জন্য রাজনৈতিক ক্ষমতাশালী গুণ্ডাদেরও পাঠিয়েছিলেন।
এই বিতর্ক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মেনকা গান্ধী আরও জানান, #মি টু-এর মতো আন্দোলন ভারতেও চালু করা প্রয়োজন। “আমার মনে হয় আমাদেরও মি টু ইন্ডিয়া ধরনের কোনও আন্দোলন শুরু করা উচিত, যেখানে কোনও মেয়ে যদি জীবনের কোনও সময় হেনস্থার শিকার হয়ে থাকেন তা তিনি জানাবেন। আমরা সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু করব।“ মেনকা গান্ধী আরও বলেন, “এই প্রথমবার আমাদের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে এমন সব কেস আমরা বিশদে খতিয়ে দেখছি।
তাঁর অভিযোগ, তনুশ্রী দত্ত আগেই বলেছেন, নানা পাটেকর যে মহিলাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তা ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই আগে থেকেই জানেন। কিন্ত কেউ এ নিয়ে মুখ খোলেননি। রজনীকান্ত এবং অক্ষয় কুমার সব জেনেও নানার সঙ্গে সিনেমা করছেন এ নিয়েও তনুশ্রী তাঁদের সমালোচনা করেন। এ ছাড়াও তিনি পরিচালক রাকেশ সারঙ্গ, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য এবং প্রযোজক সামি সিদ্দিকিকে ‘কালপ্রিট’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তনুশ্রী ২০০৮ সালে সিনেমার সেটে তাঁর সঙ্গে হওয়া হেনস্থার বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরেই ইন্ডাস্ট্রির অনেকে তাঁর সমর্থনে নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। টুইঙ্কেল খান্না, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, রিচা চাড্ডা, সোনম কাপুর, পরিণীতি চোপড়া ও ফারহান আখতার তনুশ্রী দত্তের ‘সাহসী’ পদক্ষেপের সমর্থনে ট্যুইট করেছেন। সূত্র: এনডিটিভি