বৃহস্পতিবার, ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ১২ই আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

একজন ছাত্রী দিয়ে চলছে সরকারি গার্লস স্কুল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

নামে সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। কিন্তু একজনই ছাত্রী। সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। শিক্ষকও একজন। তার মাসিক আয় ৭০ হাজার টাকা। ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের রেওয়ারি জেলার লক্ষ্মী গ্রামে এমনই একটি স্কুলের সন্ধান পাওয়া গেছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, কুসুম কুমারির মা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় উভয় স্কুলেই ‘মিড ডে মিল’ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছেন। লক্ষ্মী গ্রামে একাধিক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বসবাস। ২০১৬ সালে স্কুলটিতে ২২ জন ছাত্রী ছিল। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এ সংখ্যা ছিল ১২-তে। ২০১৭ সালে ছাত্রী সংখ্যা বেড়ে ২৪-এ দাঁড়ায়। ২০১৮ সালে ছাত্রী সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র একজনে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্কুলের শিক্ষক দয়া কিশান পাঠদানের পাশাপাশি স্কুল ঝাড়ু দেয়ার কাজটাও নিজেই করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা বিভাগ প্রতিবছর একটি স্কুলের পেছনে সাড়ে আট লাখ টাকা খরচ করে। অথচ স্কুলের অবস্থা মোটেও ভালো না। তিনি ছাত্রীদের অন্য স্কুলে পাঠানোর পক্ষে মত দেন।

স্কুলের একমাত্র শিক্ষক দয়া কিশান জানান, আমি সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক। তবে সব বিষয়েই আমি আমার ছাত্রীকে শিক্ষা দিয়ে থাকি। এমনকি যদিও গণিত আমার অত পছন্দের বিষয় না, তারপরও আমি যা পারি তাকে তাকে তাই শিখাচ্ছি।

কুসুম কুমারি ওই স্কুলের একমাত্র ছাত্রী। সে জানায়, স্কুলের একমাত্র ছাত্রী হওয়ায় সে কিছু মনে করে না। তবে সে বন্ধুদের খুব মিস করে।

স্কুলটিতে তিনটি কক্ষ রয়েছে। তবে তিনটি কক্ষই সংগ্রহশালা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলে বারান্দায় চলে পাঠদানের কাজ। স্কুল থেকে আধা কিলোমিটার দূরেই রয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল। ওই স্কুলে ২১ জন ছাত্র-ছাত্রী।

তবে এখানে একটা ধাঁধা থেকেই যায়। যে স্কুলে ছাত্রী সংখ্যা মাত্র একজন, সেই স্কুল শিক্ষা বিভাগ কেন চালাচ্ছে। এ বিষয়ে রেওয়ারি জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সুরেশ গোরিয়া জানান, শিক্ষা বিভাগ স্কুলটি সম্পর্কে পুরো অবগত রয়েছে। তিনি বলেন, ওই ছাত্রী যদি এই স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়, তাহলে আমাদের কী করার আছে?